ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে শেখ হাসিনা হাইটেক পার্কের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত: ২১:০৩, ২৮ জানুয়ারি ২০২১

মাদারীপুরে শেখ হাসিনা হাইটেক পার্কের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরে শেখ হাসিনা ইনষ্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এন্ড হাইটেক পার্কের জন্য নির্ধারিত স্থানে অতিরিক্ত টাকা ক্ষতিপূরণে আশায় গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়। এর আগে সভা করে এ সকল স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ৭ দিনের সময় বেধে দিয়েছিল প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশে শিবচরের কুতুবপুর ইউনিয়নের কেশবপুরে আইসিটি মন্ত্রনালয় ‘শেখ হাসিনা ইনষ্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এন্ড হাইটেক পাকর্’ নির্মাণে ৭০.৩৪ একর জায়গা নির্ধারণ করে। এরপর থেকেই গত বেশ কিছু দিন ধরে নির্ধারিত স্থানে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় একটি শক্ষিশালী দালালচক্র ওই এলাকায় অবৈধ ঘর বাড়ি, বাগান, খামার নির্মাণ শুরু করে। সম্প্রতি আইসিটি মন্ত্রনালয় থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমি হুকুম দখলের প্রস্তাব দেয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকায় অবৈধ ঘর বাড়ি বাগান খামার স্থাপন আরো বেড়ে যায়। দালালচক্র আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ইতোপূর্বে পদ্মা সেতু রেল লাইন প্রকল্প থেকে একই পন্থায় চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে সরকারের কোটি কোটি টাকা। অনেকে রাতারাতি জিরো থেকে হিরো হয়ে গেছে অনেকে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি‘র নির্দেশে গত ১৮ জানুয়ারি ওই এলাকায় সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্থদের নিয়ে সভার আয়োজন করে ৭ দিনের সময় বেধে দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান নেতৃত্বে একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেনের নেতৃত্বে ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য প্রকল্প এলাকায় অভিযান শুরু করে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শতাধিক ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে। আরো শতাধিক ঘরবাড়ি নিজেরাই সরিয়ে নিতে শুরু করেছে স্থনীয়রা। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এ প্রকল্পটি এখানে হওয়ার খবরে দালালচক্র সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাটের জন্য শত শত স্থাপনা, বাগান স্থাপন করে। এ স্থাপনাগুলো দিয়ে দালালচক্র পদ্মা সেতুর বিভিন্ন প্রকল্প থেকে টাকাও উত্তোলন করে। আমরা এ স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে সাতদিন সময় বেধে দিয়েছিলাম। ১০ দিনের মাথায় এসে মাননীয় চীফ হুইপ স্যার ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অবৈধ স্থাপনাগুলো অপসারন শুরু করেছি।’
×