ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জামালপুরের ট্রিপল মার্ডার মামলার রায়ে একজনের ফাঁসির আদেশ, খালাস ১২

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ২৭ জানুয়ারি ২০২১

জামালপুরের ট্রিপল মার্ডার মামলার রায়ে একজনের ফাঁসির আদেশ, খালাস ১২

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর ॥ জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার রায়ে ১৪ জন আসামির মধ্যে একজন আসামির ফাঁসির আদেশ ও একজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাকি ১২ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জিন্নাত জাহান ঝুনু এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির আদেশ পাওয়া আসামি মো. বেলাল টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর উপজেলার রামাইল গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে। তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার দন্ডিত আসামি মো. হুরমুজ একই জেলা ও উপজেলার চরশুশুয়া গ্রামের মৃত চান মাহমুদ মন্ডলের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউপি সদস্য ও স্থানীয় চর নলসন্ধ্যা গ্রামের মো: ফজলুর রহমান ও সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের কয়েকজন ২০১৩ সালের ১৪ নবেম্বর বিকেলে সরিষাবাড়ী উপজেলার যমুনা নদীর বাশুরিয়া খেয়া ঘাট থেকে নৌকাযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে তাদের নৌকাটি নলসন্ধ্যা খেয়া ঘাটে পৌঁছুলে আগে থেকেই অপেক্ষমাণ দুটি নৌকায় থাকা ফাঁসির আদেশ পাওয়া আসামি মো. বেলাল ও তার সশস্ত্র লোকজনরা ফজলুর রহমান, সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের জোমার খুকশিয়া গ্রামের মৃত গাদু শেখের ছেলে ইউসুফ আলী ও একই উপজেলার কাজল গ্রামের মৃত হযরত আলী তালুকদারের ছেলে নৌকার মাঝি কুরবান আলী। এ ঘটনায় নিহত ফজলুর রহমানের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন বাদী সরিষাবাড়ী থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। পরবর্তীতে তিনজনের মরদেহ উদ্ধারের পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ প্রায় আট বছর পর বুধবার আদালত উল্লিখিত রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাশেম তারা এবং আসামি পক্ষ সমর্থন করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
×