ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৬৮ কারাগারে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র

প্রকাশিত: ২৩:২২, ১৬ জানুয়ারি ২০২১

৬৮ কারাগারে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাদকাসক্ত কারাবন্দীদের সুস্থ করতে দেশের প্রতিটি কারাগারে গড়ে তোলা হয়েছে ‘মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র’। মাদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দীদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে দেশের ৬৮টি কারাগারে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে আড়াই হাজারের বেশি মাদকাসক্ত বন্দীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাদকাসক্ত বন্দীদের মানসিক বিকাশ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কারাগার সংশোধানাগার হিসেবে রূপান্তরিত হবে। জানা যায়, চলতি বছরের আগস্টে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১১তম সভায় কারাগারে বন্দী মাদকাসক্তদের চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ওই সভায় কারাবন্দী মাদকাসক্তদের সার্বিক চিত্রও উঠে আসে। সেখানে কারা অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের ৫৯টি কারাগারে মাদকাসক্ত বন্দীদের জন্য কারাগারগুলোর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মাদকাসক্তি নিরাময় ইউনিট চালু রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কারাগারে এ ইউনিট চালু করা হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসন ও কারা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ২৮টি কারাগারে মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। এছাড়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের সব কারাগারের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে। প্রায় দেড় বছর আগে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ‘মাদক নিরাময় কেন্দ্র’ চালু হয়। কারাগারের ভেতরে হাসপাতালের পাশের ভবনের একটি ওয়ার্ডকে নিরাময় কেন্দ্র বানানো হয়। কারাগারে নেয়ার পর যেসব বন্দী মাদকাসক্ত বলে প্রমাণিত হয়, তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ওই কেন্দ্রে। কেরানীগঞ্জে বর্তমানে ৪০ থেকে ৫০ বন্দীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মাদকাসক্ত বন্দীদের চিকিৎসার জন্য নতুন ৫০ শয্যা অন্তর্ভুক্ত করে ৩০০ শয্যার কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল ও বন্দী মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। কারা সূত্র জানায়, নেশা থেকে নিবৃত্ত করতে কারাগারের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি মনিটরিং টিম গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে স্থায়ী চিকিৎসা ব্যবস্থা না পেয়ে জামিনে বেরিয়ে পুনরায় তারা সর্বনাশা মাদকাসক্ত হচ্ছে। আগে কারাগারে থাকা নেশাগ্রস্ত হাজতি ও কয়েদীদের সংশ্লিষ্ট জেলা ও বিভাগীয় শহরের সরকারী মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হতো। উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করানো হতো। কিন্তু হাসপাতালে মাদকাসক্তদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ওয়ার্ড না থাকায় তাদের চিকিৎসা করানো সম্ভব হতো না। তবে মাদকাসক্তদের জন্য কারাগারের হাসপাতালে নির্ধারিত বেড আছে, সেখানে তাদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এতে অনেক ভাল ফলও পাওয়া যাচ্ছে।
×