ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ

করোনা ঠেকাতে ব্যয়াম জরুরী

প্রকাশিত: ২১:২৮, ২৭ নভেম্বর ২০২০

করোনা ঠেকাতে ব্যয়াম জরুরী

করোনা রুখতে মানুষের শারীরিক সক্রিয়তার প্রয়োজনীতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও। বুধবার সংস্থাটি জানায়, যথেষ্ট ব্যয়াম না করার জন্য করোনা মহামারী কোন অজুহাত হতে পারে না। মহামারী থাকুক আর নাই থাকুক লোকজনকে অবশ্যই সক্রিয় থাকতে হবে। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, এমনকি মহামারীর আগেও অনেকেরই শারীরিক কর্মকাণ্ড খুব কম ছিল। খবর আলজাজিরা ও এএফপির। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটি মানুষের শারীরিক কর্মকাণ্ডের আপডেটে জোর দিয়ে বলেছে, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ব্যায়াম জরুরী। নিষ্ক্রিয়তার পরিণাম হতে পারে ভয়াবহ। ডাব্লিউএইচও’র প্রচার বিভাগের প্রধান রুডিগার ক্রেচ সাংবাদিকদের বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর এ সময়ে সক্রিয় থাকতে ডাব্লিউএইচও সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা সক্রিয় না থেকে অসুস্থতার আরেক মহামারী তৈরি করতে পারি। উল্লেখ্য, করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশে দেশে লকডাউন, চলাফেরা নিয়ন্ত্রণসহ ব্যায়ামাগারগুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে। এর ফলে বহু লোককে বাড়িতে অবস্থান করতে হচ্ছে এবং তাদের নিত্যদিনের জীবনযাপনে পরিবর্তন এসেছে। তবে শরীরিক কর্মকাণ্ডের ওপর এর প্রভাব নিয়ে স্পষ্ট কোন তথ্য নেই। ডাব্লিউএইচও’র প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস এক বিবৃতিতে বলেছেন, স্বাস্থ্য এবং ভাল থাকার জন্য শারীরিক কর্মকাণ্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি জীবনের সঙ্গে বছরের পর বছর এবং বছরের সঙ্গে জীবনকে যুক্ত করতে সহায়ক হবে। উল্লেখ্য, নিয়মিত ব্যায়াম হার্ট ডিজিজ, টাইপ টু ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এছাড়া অবসাদ, উদ্বেগ কমায় এবং মস্তিষ্ককে উজ্জীবিত করে। বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারী সূত্রের দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা এএফপির পরিসংখ্যান থেকে এ কথা জানা যায়। গত বছরের শেষের দিকে চীনে প্রথম এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত বেড়ে মোট ৬ কোটি ১৪ হাজার ২৯১ জনে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ লাখ ১৫ হাজার ২৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য ব্যবহার করে তৈরি করা পরিসংখ্যান প্রকৃত আক্রান্ত সংখ্যার কেবলমাত্র আংশিক প্রতিফলন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, বিশ্বের অনেক দেশ কেবলমাত্র উপসর্গ ভিত্তিক বা একেবারে মারাত্মক রোগীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় মহামারী করোনাভাইরাসে নতুন ২ হাজার ৪শ’ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। প্রাত্যহিক হিসেবে বুধবারের এ সংখ্যা বিগত ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর এ সংখ্যা এমন এক সময় বাড়ল যখন থ্যাঙ্কসগিভিং ডে’র ছুটি শুরু হয়েছে। বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ২ হাজার ৪৩৯ জন কোভিড-১৯ রোগে মারা গেছে। এনিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ২ লাখ ৬২ হাজার ৮০ জনে দাঁড়াল। ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২ লাখ মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ লেগেছে। ইতালি, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সে প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে। তবে সম্প্রতি ফ্রান্সে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
×