স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর গ্রিন রোডে নির্মিত পানি ভবন চত্বরে একটি পুকুর ও একটি জলাধার রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পুকুরটি নির্মাণ করা হয়। পাশাপাশি মূল ভবনের সামনের পানির ফোয়ারাসহ একটি জলাধার রাখা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন ভবনটি সামনের এ পুকুর ও জলাধারটি ভবনের সৌন্দর্য্য আরও বৃদ্ধি করেছে। সদ্য উদ্বোধন হওয়ার ভবনটির পুকুর পাড়ে দর্শনার্থীদের আনাগোনাও বাড়ছে।
প্রায় ২৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১২ তলা বিশিষ্ট পানি ভবন ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্মাণ শেষে ১ অক্টোবর প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন তিনি। প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় প্রধানমন্ত্রী এতে জলাধার ও পুকুর সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেন। পরে ২১ হাজার ৪৮৪ বর্গফুট আয়তন সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার ৬২৫ বর্গফুটের একটি জলাধার নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পের প্রধান জলাধারের দৈর্ঘ্য ২৭৫ ফুট এবং প্রস্থ ৭৫ ফুট এবং পুকুরের দৈর্ঘ্য ১৬৪ ফুট এবং প্রস্থ ১৩১ ফুট। এ ভবনেই হবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস।
পানি ভবন প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পুকুরটি সংরক্ষণ করা হয়েছে। তাতে স্বচ্ছ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুকুরটির পাড় ঢালাই করে বাঁধাই করা হয়েছে। তাতে বসার জন্য কংক্রিটের টেবিল স্থাপন করা হয়েছে। পুরো পাড় টাইলস করে নির্মাণ করা হলেও তাতে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও ফল গাছের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে দুটি সিঁড়ির ব্যবস্থা। পুকুরের পানিতে রয়েছে শাপলা। বিভিন্ন প্রজাতির মাছও ছাড়া হয়েছে পুকুরে। বিভিন্ন রঙের বাতি দিয়ে এর লাইটিং পুকুরের সৌন্দর্য্য আরও বাড়িয়েছে।
পুকুরটিতে কয়েকজন যুবককে সাঁতরিয়ে গোসল করতে দেখা গেছে। জহির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি জানান, পুকুরটির পানি অত্যন্ত স্বচ্ছ। গভীরতাও অনেক বেশি। সাঁতার কেটে গোসল করা যায়। সুন্দর দুটি ঘাটলাও রয়েছে। গোসল করার সময় মনে হচ্ছে যেন গ্রামের বাড়ির পুকুরে গোসল করছি। পানিও ঠাণ্ডা । পাড়ে বসে সুন্দর সময় কাটানো যায়।
সদ্য উদ্বোধন হওয়া ভবনটি দেখতে আসেন শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, পানি ভবনের কথা শুনে দেখতে এসেছি। পুরো ভবন চত্বর ঘুরে অনেক ভাল লেগেছে। সব চেয়ে বেশি ভাল লেগেছে জলাধার ও পুকুরটি। কারণ ঢাকায় আমরা এমন পুকুরের অস্তিত্ব তেমন একটা দেখতে পাই না। পুকুরটি ভবনটির সৌন্দর্য্যকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।