ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিশু-কিশোরী স্কুলছাত্রী প্রতিবন্ধীসহ আরও ১০ নারী ধর্ষণের শিকার

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ১১ অক্টোবর ২০২০

শিশু-কিশোরী স্কুলছাত্রী প্রতিবন্ধীসহ আরও ১০ নারী ধর্ষণের শিকার

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ থামছেই না ধর্ষণের ঘটনা। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সনমান্দি ইউনিয়নে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এদিকে খুলনায় স্যালিকার কিশোরী (১২) মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে খালুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং কক্সবাজারে রামুর রাবার বাগানের পাহাড়ী এলাকায় এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া যশোরে বাসের মধ্যে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় আটক ৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মরিচপুর গ্রামে শুক্রবার দুপুরে এক বাকপ্রতিবন্ধী নারী (৩০) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং বারহাট্টা উপজেলার দশধার এলাকায় সংঘবব্ধ ধর্ষণের চেষ্টার সময় খালে ঝাঁপ দিয়ে সম্ভ্রম রক্ষা করেছেন এক নববিবাহিতা নারী। এদিকে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অসুস্থ নানাকে দেখতে যাওয়ার সময় এক তরুণী (১৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং কমলগঞ্জে এক কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবার কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ভোলার বোরহানউদ্দিনে এক স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সনমান্দি ইউনিয়নে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম সনমান্দি গ্রামে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে মোঃ সোহেল মিয়া নামের এ ব্যক্তিকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই এলাকাবাসী সোহেলকে আটক করে গণধোলাই দেয়। গণধোলাইয়ের পর ধর্ষক সোহেলকে অসুুস্থ অবস্থায় তার বাবা মা পুলিশে সোপার্দ করে। বর্তমানে সোহেলকে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মামলায় ধর্ষিতার পিতা উল্লেখ্য করেন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসায় পড়ুয়া মেঝ মেয়ের জন্য খাবার নিয়ে যায় তার ৯ বছরের বড় মেয়ে ও ৫ বছরের ছোট মেয়ে। এ সময় খাবার দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় পরিকল্পিতভাবে পশ্চিম সনমান্দি গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে মোঃ সোহেল মিয়া তাদের পথরোধ করেন। এ সময় সঙ্গে থাকা ছোট মেয়েকে সোহেল মিয়া হত্যার ভয় দেখিয়ে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে ৯ বছরের মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পরিত্যক্ত একটি স্থানে ধর্ষণ করে ফেলে চলে যায়। খুলনা ॥ নগরীর গল্লামারী এলাকায় স্যালিকার কিশোরী (১২) মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে খালু চুন্নুকে (৩০) স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে তার পিতা বাদী হয়ে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামি চুন্নুকে শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হলে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে। খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, ওই কিশোরীর পরিবার ও তার (কিশোরীর) খালার বাসা গল্লামারী এলাকায় কাছাকাছি স্থানে। উভয় পরিবার শ্রমজীবী। মেয়েটি খালার অসুস্থতার জন্য তাকে কাজে সহযোগিতা করতে তাদের বাড়িতে যেত। গত তিন মাস ধরে বিভিন্ন সময় তার খালু চুন্নু তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়। কক্সবাজার ॥ রামুর রাবার বাগানের পাহাড়ী এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম সোহেল নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। সে রামু জোয়ারিয়ানালা পাহাড়িয়া পাড়ার নুরুল ইসলামের পুত্র। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, কিশোরীসহ তারা ৪ সহপার্টি পার্শ¦বর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি লেকে ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুই যুবক তাদের গতিরোধ করে। কিশোরীকে টানা হেঁচড়া করে পার্শ¦বর্তী জঙ্গলে নিয়ে যায় দুই যুবকের মধ্যে সাইফুল ইসলাম সোহেল। আরেক যুবক বাকি ৩ শিশুকে ভয় দেখিয়ে জঙ্গলের পাশেই দাঁড়িয়ে রাখে। লোকজন এগিয়ে এসে বিষয়টি থানায় জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাইফুল ইসলাম সোহেলকে আটক করে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার কিশোরী চিকিৎসাধীন রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের পাঁচবিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার কিশোরীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত দেলোয়ার মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। কিশোরীর পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন যাবত বাবা-মা’র সঙ্গে নানা বাড়িতেই বসবাস করত সে। শুক্রবার রাত ৮টায় কিশোরীর মা তাকে তরকারি দিতে পাশের আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠায়। তরকারি দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে চাচাতো মামা দেলোয়ার তার মুখ চেপে ধরে পাশে ঝোপঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। কিশোরীর পরিবার শনিবার সকালে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক পুলিশ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠায়। যশোর ॥ যশোরে বাসের মধ্যে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় আটক ৭ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদৎ হোসেনের আদালতে হাজির করলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আটককৃতরা হলো- যশোর সদর উপজেলার রামনগর ধোপাপাড়ার বাস শ্রমিক মনিরুল ইসলাম, শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়া এলাকার শাহিন হোসেন জনি, সিটি কলেজপাড়ার কৃষ্ণ বিশ্বাস, সুভাষ সিংহ, বারান্দী কাঁঠালতলা বৌবাজার এলাকার রাকিবুল ইসলাম রকিব, বারান্দীপাড়ার কাজী মুকুল এবং বেজপাড়া কবরস্থান রোড এলাকার মঈনুল ইসলাম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর শেখ আবু হেনা মিলন জানান, নির্যাতিত তরুণী বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার দিন আটক ৭ জনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে তাদের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় বিচারক আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজশাহী থেকে এম কে পরিবহনের একটি বাসে যশোর আসে ওই তরুণী। এরপর গভীর রাতে শহরের কোল্ডস্টোরেজ এলাকায় বাসের মধ্যে ওই তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়। নেত্রকোনা ॥ জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মরিচপুর গ্রামে শুক্রবার দুপুরে এক বাকপ্রতিবন্ধী নারী (৩০) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। জানা গেছে, ওই উপজেলার মোজাফরপুর গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে মজনু মিয়া (৪০) মরিচপুর গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে থাকে। শুক্রবার দুপুরে সে এক বিবাহিতা বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে ফুসলিয়ে বাড়ির পিছনের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেলে ধর্ষক মজনু পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ওইদিন রাতেই ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওসি (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মজনুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভিক্টিমকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের চেষ্টা, খালে ঝাঁপ দিয়ে নববধূর সম্ভ্রম রক্ষা ॥ এদিকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের চেষ্টাকালে খালের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করেছেন এক নববিবাহিতা নারী। নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার দশধার এলাকায় ঘটেছে এ বর্বরোচিত ঘটনা। অপহৃতা নববধূর স্বামী রফিকুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলার বারহাট্টা থানায় এমন অভিযোগ উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। জানা গেছে, নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম একমাস আগে বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের ওই নারীকে (১৯) বিয়ে করেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে ওই নারীর ঝগড়া হয়। এ কারণে অভিমান করে তিনি বাবার বাড়িতে চলে যাবার উদ্দেশে স্বামীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এ ঘটনা জানতে পেরে রাস্তায় গিয়ে ওই নারীকে নিজের ইজিবাইকে তুলে নেন রফিকের বন্ধু ঠাকুরাকোনা গ্রামের কামরুল হাসান। কামরুল তাকে তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ইজিবাইক নিয়ে রওনা হন। কিছুদূর গিয়ে ইজিবাইক নষ্ট হওয়ার ভান করে মোবাইল ফোনে তার তিন বন্ধু সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা গ্রামের সুবল দাস (২৪), সতরশ্রী গ্রামের শাহ আলম (২২) ও বারহাট্টা উপজেলার দশধার গ্রামের রাজু মিয়াকে (২২) মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে বলে। তারা এলে নববধূকে মোটারসাইকেলে উঠিয়ে জোর করে বারহাট্টার দশধার গ্রামে নিয়ে যায়। পরে দশধার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনের একটি জঙ্গলে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করতে চাইলে তিনি (নারী) একটি খালের পানিতে ঝাঁপ দেন। পরে খাল পেরিয়ে এক বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। তখন বাড়ির লোকজন এসে নারীকে উদ্ধার করে। অন্য যুবকরা তখন পালিয়ে যায়। মৌলভীবাজার ॥ বড়লেখায় অসুস্থ নানাকে দেখতে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে এক তরুণী (১৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ৯ অক্টোবর শুক্রবার সকালে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আতুয়া এলাকায়। সন্ধ্যায় ধর্ষিতা তরুণীর মামলায় পুলিশ সহযোগী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকসহ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। এরা হচ্ছে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউপির বাদেপুকুরিয়া গ্রামের মৃত রফিকউদ্দিনের ছেলে বাজার চৌকিদার দেলোয়ার হোসেন (২৫) ও উপজেলার চুকারপুঞ্জি গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে আলী আহমদ (১৮)। শনিবার দুপুরে পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। জানা গেছে, ওই তরুণী বৃহস্পতিবার খালার বাড়ি বেড়াতে যান। রাতে খবর পান নানা অসুস্থ। অসুস্থ নানাকে দেখতে শুক্রবার সকালে খালার বাড়ি থেকে নানার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। শাহবাজপুর বাজারে আসার পর তরুণীর খালাতো ভাই সিএনজি চালক আলী আহমদের সিএনজিতে তুলে দেন। পথে সিএনজি চালক আলী আহমদ শাহবাজপুর বাজারের চৌকিদার দেলোয়ারকে সিএনজিতে উঠান। সিএনজিতেই দেলোয়ার তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে তরুণী গাড়ি থেকে নামার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। সিএনজি চালকের সহযোগিতায় দেলোয়ার জোরপূর্বক আতুয়া এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। স্থানীয় লোকজন আসলে তরুণীকে রেখে ধর্ষক দেলোয়ার ও সহযোগী আলী আহমদ পালিয়ে যায়। বাড়ি না ফেরায় খুঁজতে গিয়ে খালাতো ভাই ও স্থানীয় লোকজন তরুণীকে উদ্ধার করেন। কমলগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টা ॥ এদিকে মৌলভী বাজারের কমলগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে লুৎফুর রহমান নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর ২টার দিকে মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক কারাগারে প্রেরণ করেন। ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি সালিশে ধামাচাপার চেষ্টা করা হলে কিশোরী মেয়েটি বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে উপজেলার আধকানী বাজারের হারুন মিয়ার ছেলে লুৎফুর রহমান ও কাউয়ারগলা গ্রামের শরিয়ত মিয়ার ছেলে মঈনুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী এলাকার কিশোরী মেয়েকে (১৩) ফুসলিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ বিষয়ে রাতেই কিশোরীর বাবা ধনাই মিয়া ২ জনকে আভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলোÑ উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের বড়ুয়া তবকপুর গ্রামের কায়সার আলী, আবু বক্কর, সোবাহান আলী লিটন ও মোমিনুল ইসলাম। জানা গেছে, উলিপুর পৌরসভার বলদীপাড়া গ্রামের এক সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর সঙ্গে একই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র রবিউল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূকে ডেকে নেয় রবিউল। পরে তার সহযোগী আবু বক্করকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের বড়ুয়া তবকপুর রাজারঘাট গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র মোমিনুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর ঐ বাড়িতে রবিউল ইসলামসহ আটক ৪ জন ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ভোলা ॥ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১৩ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় সফিকুল ইসলাম ও মোঃ নাগর মাল নামের দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সফিকুল ইসলাম লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের লাল মিয়া ঢালীর ছেলে ও মোঃ নাগর মাল একই উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের হাবু উল্লাহ মালের ছেলে। শনিবার দুপুরে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। জানা যায়, ভোলার লালমোহন উপজেলার ১৩ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে সফিকুল ইসলামের পরিচয় ছিল। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ওই ছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সফিকুল ইসলাম ও নাগর মাল অপহরণ করে নিয়ে আসে। অপহরণের পর ওই স্কুলছাত্রীকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের পদ্মামনসা গ্রামের সবুজ হাজীর সুপারির বাগানের উত্তর পাশের পুকুর পাড়ে নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে স্কুল ছাত্রীকে ওই এলাকার ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন সরকারী আবাসন প্রকল্পের সামনে ফেলে রেখে সফিক ও নাগর পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ওই রাত পৌনে ১২টার দিকে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের একটি টিম ওই এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
×