ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁর পোরশায় পটল ক্ষেতে পচন

প্রকাশিত: ১৬:০৮, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

নওগাঁর পোরশায় পটল ক্ষেতে পচন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর পোরশায় সবজী চাষী কৃষকদের পটল ক্ষেতে ব্যাপক হারে পচন লেগে গাছ মরে যাচ্ছে। এতে প্রান্তিক সবজী চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পটল বিক্রি করে তাদের খরচ উঠবে কি না এ নিয়ে তারা চিন্তিত। কোন কীটনাশক প্রয়োগ করে কাজ হচ্ছেনা বলে তারা জানান। উপজেলার নিতপুর খোর্দগানইর গ্রামে মোস্তাকিম নামে এক প্রান্তিক কৃষকের পটল বাগানে পটল ধরে থাকলেও সমস্ত গাছ মরে গেছে। প্রথম অবস্থায় গাছের মাঝে পচন ধরে গোটা গাছ হলুদ রং ধারন করে মরে যাচ্ছে। মোস্তাকিমের পটল বাগানে কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতর পোরশার দেয়া “জৈব কৃষি ও জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনা প্রদর্শনী” লেখা একটি সাইন বোর্ড আছে। তার পরেও দেখা মিলছেনা কৃষি কর্মকর্তাদের। প্রান্তিক কৃষক মোস্তাকিম জানান, কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতর পোরশার সহযোগীতায় কয়েকমাস পূর্বে তার ব্যক্তি মালিকানাধীন ২০শতাংশ জমিতে পটল গাছ লাগালেও তারা আমাকে কোন সহযোগীতা করেনি। পটল গাছ লাগানোর সময় ২ হাজার টাকা দিয়েছে বলে তিনি জানান। তবে এপর্যন্ত তার ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হলেও তিনি মাত্র কয়েক হাজার টাকার পটল বিক্রি করেছেন। হঠাৎ করে পটল গাছে পচন লেগে গাছ মরে যাওয়ায় তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বলে জানান। এব্যাপারে তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের বলেও কোন লাভ হয়নি বলে জানান। তবে পটল গাছ লাগিয়ে এতে তার লাভ না হয়ে ক্ষতি হলো বলে তিনি দাবি করেন। একই গ্রামের কৃষক নুরনবী ও আফাজ উদ্দিন একই কথা জানান। পচনে তাদের পটল গাছ মরে যাওয়ায় তারাও ৩-৫ কাঠা জমিতে পটল আবাদ করে লাভ না হয়ে ক্ষতি হয়েছে বলে জানান। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম সাংবাদিকদের বলেন, তিনি উপজেলায় মাত্র দুটি “জৈব কৃষি ও জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনা প্রদর্শনী” আছে বলে জানান। এসময় তিনি মোস্তাকিমের পটল বাগান দেখতে যাননি বলে স্বীকার করেন। তবে তিনি আফাজ উদ্দিনের পটল বাগান দেখেছেন এবং আফাজ উদ্দিন তার পটল বাগানের আশা ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান। গাছে পচন লাগার ব্যাপারে তিনি অতিরিক্ত বৃষ্টিই কারন বলে জানান এবং পটলের সময় শেষে হওয়ার কারনে তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলেও জানিয়েছেন।
×