ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মালির নিয়ন্ত্রণে বিদ্রোহীরা, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

প্রকাশিত: ২৩:১১, ২০ আগস্ট ২০২০

মালির নিয়ন্ত্রণে বিদ্রোহীরা, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

বিদ্রোহী সৈন্যরা আটক করার পর মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকর কেইতা পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে কেইতা সরকার ও পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার ঘোষণাও দিয়েছেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য কোন রক্তপাত হোক তা চাই না আমি’। বিবিসি। বন্দুকের মুখে প্রেসিডেন্ট কেইতা ও প্রধানমন্ত্রী বুবু সিসাকে রাজধানী বামাকোর নিকটবর্তী একটি সামরিক শিবিরে ধরে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। কেইতা বলেন, ‘আজ যদি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর নির্দিষ্ট কিছু অংশ তাদের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এর অবসান চায় তাহলে সত্যিই কি আমার কিছু করার আছে’? এসব ঘটনার আগে বিদ্রোহী সৈন্যরা রাজধানীর নিকটবর্তী কাতি শিবিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ফ্রান্স ও আঞ্চলিক শক্তিগুলো মালির এসব ঘটনাবলীর নিন্দা জানিয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, বেতন ও জঙ্গীদের সঙ্গে অব্যাহত লড়াই নিয়ে সৈন্যদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল, পাশাপাশি সদ্য সাবেক হওয়া প্রেসিডেন্টের প্রতিও ব্যাপক অসন্তোষ ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কেইতা, কিন্তু দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও দেশের কয়েকটি অংশে গোষ্ঠীগত সহিংসতার উত্থানে দেশজুড়ে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এর জেরে সম্প্রতি মাসগুলোতে কয়েকটি বড় ধরনের প্রতিবাদ দেখা গেছে। রক্ষণশলী ইমাম মাহমুদ ডিকোর নেতৃত্বে বিরোধীদলগুলোর নতুন একটি জোট হয়েছে। নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের পর ঐক্য সরকার গঠনসহ কিছু ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেইতা, কিন্তু সেসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন ডিকো।
×