ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় সাড়ে ৭ হাজার পরিবার নতুন করে নদী ভাঙ্গন কবলিত

প্রকাশিত: ১৪:৩৭, ৮ জুলাই ২০২০

গাইবান্ধায় সাড়ে ৭ হাজার পরিবার নতুন করে নদী ভাঙ্গন কবলিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ বন্যার পানি কমার সঙ্গেসঙ্গেই গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট ও বাঙ্গালী নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার পরিবার ভাঙ্গন কবলিত হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। ইতোমধ্যে যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনটি। এছাড়া ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে আশেপাশের দু’শতাধিক বসতবাড়ী। ফলে ভাঙ্গন কবলিত মানুষ দ্রুত তাদের বাড়িঘর সরিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। এদিকে সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নে বাঙ্গালী নদীর ভাঙ্গনে রামনগর গ্রামের বসতবাড়ি ও প্রচুর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫টি পরিবার মারাত্মকভাবে ভাঙ্গন কবলিত হয়েছে। তদুপরি সাঘাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাথালিয়া, উত্তর সাথালিয়ার ফ্লাড সেন্টার, গোবিন্দী, হাটবাড়ি, বাঁশহাটা, হাসিলকান্দি মৌজার প্রায় ২শ’ পরিবারের ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের শিকার এসব পরিবার অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। এছাড়া ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গনে চরম হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জিগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বাজার, নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ঈদগা মাঠ, একটি বিএস কোয়াটার, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, দুটি জামে মসজিদ, ৩টি মোবাইল টাওয়ার ও একটি বাজার এখন মারাত্মকভাবে ভাঙ্গন কবলিত।
×