ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে ধরলায় ফের পানি বাড়ছে

প্রকাশিত: ১৮:৩৬, ৩ জুলাই ২০২০

কুড়িগ্রামে ধরলায় ফের পানি বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি ধীরে ধীরে কমলেও ধরলা নদীর পানি আবারো বাড়তে থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার এবং দুধকুমর নদীর পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম নদ-নদীর পানি প্রবাহের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা জানান, সরকারের পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। চাহিদা মোতাবেক পর্যাক্রমে তা দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩০২ মে.টন চাল ও ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মো: মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানান, জেলায় ৯ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরীর কাজ চলছে বলে তিনি জানান। কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, বন্যার্ত মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে ৮৫টি ম্যাডিকেল টিম কাজ করছে। এর বাইরেও কোন খারাপ খবর পেলে তাৎক্ষনিক ভাবে আমরা বিশেষ ব্যাবস্থা নেব। সে রকম প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। কুড়িগ্রাম জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সায়হান আলী জানান, এ পর্যন্ত বন্যার্তদের মাঝে পানি বিশুদ্ধ করণ কীট ২৫হাজার সরবরাহ করা হয়েছে। নতুন করে বন্যাদুর্গদের সহায়তায় স্থাপন করা হয়েছে ১২টি টিউবওয়েল ১২টি ল্যাট্রিন। মেরামত করে দেয়া হয়েছে ৪৩৫টি টিউবওয়েল। এছাড়া বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় ৬শতাধিক টিউবওয়েলের গোরা (প্লাট ফর্ম) উঁচু করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বন্যার্তদের মাঝে প্রতিদিন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এ জন্য দুটি বিশুদ্ধ পানির প্ল্যান্টের ভ্রাম্যমান গাড়ি ঘুরে ঘুরে পানি সরবরাহ করছে। প্রতিটি বিশুদ্ধ পানির প্ল্যান্ট থেকে প্রতি ঘন্টায় ২হাজার লিটার পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।
×