ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন বিচারক

প্রকাশিত: ১৭:০৪, ২৯ জুন ২০২০

শেরপুরে এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন বিচারক

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরে এবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন জেলা জজশীপের এক বিচারক। ২৮ জুন রবিবার রাতে তার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। কামাল হোসেন (৪৬) নামে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের ওই বিচারক বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। শেরপুরের বিচার বিভাগের মধ্যে তিনিই প্রথম করোনায় আক্রান্ত হলেন। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বেঞ্চ সহকারী শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে ওই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জেলা জজশীপের ভারপ্রাপ্ত নাজির আমিনুল ইসলাম বাদল জানান, করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল আদালতের প্রথমভাগে জেলা জজশীপের মধ্যে কেবল জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজতী আসামিদের জামিন শুনানীসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শুনানী চলছিল। বর্তমানে সীমিত পরিসরে জজশীপের সব আদালতে ওই কার্যক্রম চলায় অন্যান্যদের মতো যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ কামাল হোসেনও বিচারকাজে অংশ নিচ্ছিলেন। ওই অবস্থায় ২৬ জুন তার গলা ব্যথা শুরু হলে তিনি পরদিন সরাসরি ময়মনসিংহে গিয়ে এসকে হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য নিজের নমুনা দেন। এরপর ২৮ জুন রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় তার নমুনা পজেটিভ আসে। রাতেই পিসিআর ল্যাবের ফলাফল উদ্বৃত করে তাকে ওই তথ্য জানান এসকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই তিনি ময়মনসিংহ নগরীর বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। ওই অবস্থায় তার বাসায় অবস্থান করা কলেজ শিক্ষিকা স্ত্রী, ২ সন্তান, কাজের মেয়ে ও তার ২ আত্মীয়ের করোনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে নমুনা। করোনায় আক্রান্ত বিচারক কামাল হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার সামান্য গলাব্যথা ছাড়া শরীরে এখনও কোন করোনার বাহ্যিক উপসর্গ নেই। অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় থাকার মধ্যেই চিকিৎসা চলছে। তিনি আরও জানান, তার পিতা ফজলুল হক (৮০) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৩ জুন থেকে মুক্তাগাছা পৌর শহরের মোজাটি মহল্লার বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। দ্বিতীয়বার নমুনা সংগ্রহ করা হলেও এখনও সেই রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এছাড়া সাইফুল ইসলাম (৫০) নামে তার এক বড়ভাইও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি হতাশ না হয়ে দৃঢ় মনোবল পোষণ করে বলেন, পরিবারের একাধিক সদস্যসহ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন তার সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম আনওয়ারুর রউফ বলেন, সরাসরি ময়মনসিংহে তার নমুনা পরীক্ষা হওয়ায় বিষয়টি আমাদের জানা ছিলো না। তারপরও এখন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেওয়া হবে। তিনি বা তার পরিবারের তরফ থেকে ইচ্ছা পোষণ করলে দেওয়া হবে চিকিৎসা সেবা।
×