ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

লাকী আখান্দের ৬৪তম জন্মদিন

প্রকাশিত: ২১:১৪, ৭ জুন ২০২০

লাকী আখান্দের ৬৪তম জন্মদিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর নাম লাকী আখান্দ। এই কিংবদন্তি গায়ক একাধারে অনন্য একজন সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও গীতিকার। মহান এই কণ্ঠতারকার আজ ৬৪তম জন্মদিন। ১৯৫৬ সালের এইদিনে তিনি ধরাকে আলোকিত করে নিজের আর্বিভাব জানান দেন সবাইকে। পপসম্রাট তার ভিন্ন ধাঁচের গান নিয়ে যেমন আলাদা সঙ্গীতশ্রোতা তৈরি করেছেন তেমনি, লাকী আখান্দ তার মেলোডি ধাঁচের গানের মাধ্যমে নিজের গণ্ডিকে করেছেন সমৃদ্ধ ও ব্যাপক। অঞ্জন দত্তের সপ্তম এ্যালবামে লাকী আখন্দকে নিয়ে লেখা গান ছিল- ‘দু’জনে থাকে দুটো দেশে, দুজনেই গান বেঁচে খায়; গানে গানে কোন এক মঞ্চে, হঠাৎ দেখা হয়ে যায়। এমন করে ভালোবাসা যেন ছড়িয়ে পড়েছিল ওপার বাংলাতেও। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে প্রকাশ পায় অসংখ্য শ্রোতানন্দিত ও ব্যাপক জনপ্রিয় গানের সুরকার, সঙ্গীত পরিচলক শিল্পী লাকী আখান্দের। তাঁর প্রথম সলো এ্যালবাম ‘লাকী আখান্দ’। বাংলা সঙ্গীতের ক্ল্যাসিক সেই এ্যালবামের উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো- ‘এই নীল মণিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘মামনিয়া’, ‘আগে যদি জানতাম’, ‘হৃদয় আমার’, ‘সুমনা’, ‘তোমার স্বাক্ষর আঁকা’। অবশ্য পরবর্তীতে ‘আমায় ডেক না’ গানটি তিনি শিল্পী সামিনা চৌধুরীকে উপহার দেন। অন্যদিকে সামিনা চৌধুরীও তার একক এ্যালবামে লাকী আখান্দের সুরারোপে করা এই বিখ্যাত গানটি সঙ্কলন করেন। ১৯৮৭ সালে ছোট ভাই হ্যাপী আখান্দের মৃত্যুর পরপর সঙ্গীতাঙ্গন থেকে অনেকটাই স্বেচ্ছায় নির্বাসন নেন এই গুণী শিল্পী। তবে হ্যাপীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে হ্যাপী আখান্দের একমাত্র সলো এ্যালবামটি আবারও রিমেক করেন। মাঝখানে প্রায় এক দশক নীরব থেকে ১৯৯৮-এ পরিচয় কবে হবে ও বিতৃষ্ণা জীবনে আমার এ্যালবাম দুটি নিয়ে আবারও ফিরে আসেন সঙ্গীতাঙ্গনে। গীতিকার গোলাম মোর্শেদের কথামালায় প্রায় এক দশক পরে সঙ্গীতাঙ্গনের ছয় উজ্জ্বল তারকা শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু, জেমস, হাসান, তপন চৌধুরী, কুমার বিশ্বজিৎ ও সামিনা চৌধুরীকে নিয়ে প্রকাশ করেন মিক্সড এ্যালবাম ‘বিতৃষ্ণা জীবনে আমার’। সেবারই তিনি প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মিক্সড এ্যালবামের কাজ করেন। আর ফলাফল, সুপার ডুপার হিট একটি এ্যালবাম। নিঃসন্দেহে বলা যায়, লাকী আখান্দের সুরারোপে করা প্রতিটি গানের কথার ওপর সুরের যে প্রভাব, তা যে কাউকেই সহজে মুগ্ধ করবে। লাকী আখন্দকে তাই সুরের বরপুত্র হিসেবে আখ্যায়িত করলে ভুল হবে না। সুর ও সঙ্গীতায়োজনের নান্দনিক ও বৈচিত্র্যময় উপস্থাপনে তিনি কিংবদন্তি। সফট-মেলোডি, মেলো-রক, হার্ড-রক যেটাতেই হাত দিয়েছেন সেটাই হয়ে উঠেছে এক একটি মাস্টারপিস। জেমসের ‘লিখতে পারি না’ ও ‘ভালবেসে চলে যেওনা’ সুপার হিট হয়েছিল সেই সময়ে। এছাড়া এবি’র ‘কি করে বললে তুমি, তোমাকে হঠাৎ করে ভুলে যেতে’ কিংবা ‘বিতৃষ্ণা জীবনে আমার’ কোন অংশে পিছিয়ে ছিল না।
×