ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনাকালে গাইবান্ধার ফুলচাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত

প্রকাশিত: ২০:৪৭, ৪ জুন ২০২০

করোনাকালে গাইবান্ধার ফুলচাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গাইবান্ধায় ফুল ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে। বিভিন্ন দিবসকে সামনেরেখে ধারদেনা করে তারা যে ফুল চাষ করেছিল তা বিক্রি করতে না পেরে জমিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অধিক লাভের আশায় সব অর্থ ফুল চাষে বিনিয়োগ করে হতাশায় পড়েছেন ফুল চাষীরা। ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি সহায়তা চান তারা। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধর্মপুর এলাকার লিটন চন্দ্র ফুল চাষে জেলার অন্যতম সফল চাষী। তার সীমা নার্সারী থেকে উৎপাদিত ফুল দিয়ে জেলার চাহিদা মিটিয়ে যেত অন্য জেলায়। করোনা ভাইরাসের প্রবাবে মুজিববর্ষ, বসন্ত বরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ২১শে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস এবং বাংলা নববর্ষ উদযাপনসহ সব সামাজিক অনুষ্ঠান ও ফুলের দোকান বন্ধ থাকায় মাঠ ভরা ফুল মাঠেই শুকাচ্ছে তার। লিটনের মতো জেলার অন্যান্য চাষীদেরও একই অবস্থা। মাঠ ভরা ফুলের বাগানে মাঠের পর মাঠ দোল খাচ্ছে গাঁদা, রজনীগন্ধা, গোলাপসহ নানা জাতের ফুল। আর এখন এ ফুলঠ মাঠেই শুকোচ্ছে তাদের। ঝরে পড়া ফুলের পাপড়ির সাথে ঝরছে চাষীদের আশার স্বপ্ন। ফুল চাষ জেলার চাষীদের নতুন অর্থনৈতিক দ্বার খুলে দিলেও এবার তাদের সব স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। এখন জেলার ফুল চাষীদের দিন কাটছে চরম হতাশা আর দুঃস্বপ্নে। কবে নাগাদ ফুলের বেচাকেনা শুরু হবে তাও অনিশ্চিত। ফুল বেচাকেনা না থাকায় চরম লোকসানের মুখে পড়েছে চাষীরা। ফুল বিক্রি করতে পারছেন না। আবার ক্ষেতে ফুল রাখতেও পারছেন না। দ্রুত পঁচনশীল হওয়ায় বাধ্য হয়ে ফুল কেটে ফেলে দিতে হচ্ছে তাদের। সব পুঁজি বিনিয়োগ করে ফুল চাষে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলার ফুল চাষীরা। সেইসাথে বেকার হয়ে পড়েছে ফুল ব্যবসার সাথে সম্পর্কিতরাও। ঘুরে দাঁড়াতে দ্রুত সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন তারা। এব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান করোনা ভাইরাসের কারণে ফুল চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কথা স্বীকার করে তিনি জানান, জেলায় ফুল চাষ ধরে রাখতে প্রণোদনা ও কৃষি ঋণসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
×