ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিমুলিয়ায় ঢাকামুখী হাজারো যাত্রীর ঢল

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ২৮ মে ২০২০

শিমুলিয়ায় ঢাকামুখী হাজারো যাত্রীর ঢল

স্টাফ রিপোর্টার,মুন্সীগঞ্জ ॥ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে বৃহস্পতিবার ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নামে। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ঈদের পরদিন হতেই এ নৌরুট দিয়ে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার সাধারণ ছুটি আর বাড়াবেনা বলে ঘোষণা দেওয়ায় লোকজন এখন কর্মস্থল মুখী হচ্ছে। তবে লঞ্চ, সিবোট এখনও চলাচল না করায় ফেরিতে গাদাগাদি করে যাত্রীরা পদ্মা পারি দিচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এখান থেকে করোনা সংক্রমিত হবার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ ছুটছে কর্মস্থল ঢাকা ও তার আশেপাশের জেলাগুলোতে। যখনই ওপার কাঁঠালবাড়ি থেকে কোন ফেরি আসছে, তাতে মানুষ আর মানুষ ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছিলনা। মানুষের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছিল ফেরিতে থাকা দু-একটি গাড়ীও। শিমুলিয়া ঘাটে আসার পর যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে নেমে ছুটছিল গাড়ী ধরার জন্য। কিন্তু সেখানে গাড়ী না পেয়ে তারা ছোট ছোট গাড়ী বিশেষ করে নসিমন, করিমন, পিকাপভ্যান, অটো রিক্সা, উবারের অফ লাইনের মোটর সাইকেল, গাড়ী ও মাইক্রোতে গড়ে ঢাকার দিকে ছুটচিল। এতে তাদের কয়েকগুণ ভাড়া বেশী গুনতে হচ্ছে। এরপরে আবার বিপত্তি দেখা ঘটায় ট্রাফিক পুলিশ। ব্যক্তিগত গাড়ী ছাড়া ভাড়ার গাড়ী চলাচলে সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা ভাড়ার গাড়ীগুলো আটকিয়ে দেওয়ায় যাত্রীরা পরে যানবাহন সংকটে। মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো. হিলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নামে। কিন্তু যানবাহনের অভাবে এসব যাত্রীরা ঢাকায় ফিরতে ভোগান্তির শিকার হয়। ব্যক্তিগত গাড়ী ছাড়া ভাড়ার গাড়ী চলচল নিষেধ থাকায় আমরা বেশ কিছু ভাড়ায় চালিত মাইক্রো ও প্রাইভেট কার জব্দ করেছি। এগুলো বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে দুপুরের পরে যাত্রীর ঢল কিছুটা কমে আসে। মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পরিদর্শক মো. সিরাজুল কবির জানিয়েছেন, সকাল থেকে ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দক্ষিনবঙ্গমুখী তেমন কোন গাড়ীই নেই। ভোরের দিকে হালকা যানবাহন থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নামে। তবে দুপুরের পরে এ মানব ঢল কিছুটা কমে আসে। সরকার সাধারণ ছুটি সমাপ্ত ঘোষণা করায় লোকজন এখন কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। তবে সামাজিক দূরত্ব এখানে লংঘন করা হচ্ছে। এতো অধিক সংখ্যক যাত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ছিলনা। এতে কারো শরীরে করোনা থাকলে তা সংক্রমিত হবার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটস্থ এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সকাল থেকে ১১-১২টি ফেরি চলাচল করে। সকাল ১০টার দিকে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নামে। তবে দুপুরের পরে কিছুটা যাত্রীর চাপ কমে আসে। ঈদের পরদিন হতেই ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। গতকাল দক্ষিনবঙ্গমুখী যানবাহনের তেমন কোন চাপই ছিলনা। তবে ঢাকামুখী কিছু ছোট ছোট গাড়ীর চাপ ছিল।
×