ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইউরোপে মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসছে

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ৫ মে ২০২০

ইউরোপে মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসছে

প্রাণঘাতী নোভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম দৈনিক মৃত্যুর তথ্য লিপিবদ্ধ হয়েছে ইউরোপের দেশগুলোতে। এর মধ্যে ফ্রান্স, ইতালি ও স্পেন উল্লেখযোগ্য। ফলে এ দেশগুলো ধীরে ধীরে নিজেদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার পরিকল্পনা করছে। বিবিসি। ফ্রান্সের চিকিৎসকরা দাবি করেছেন, রোগীদের থেকে নেয়া নমুনা নিয়ে করা নতুন পরীক্ষায় দেখা গেছে ভাইরাসটি গত বছরও ফ্রান্সে উপস্থিত ছিল। এটি ঘটেছে দেশটিতে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার কয়েক সপ্তাহের আগেই। অন্যদিকে রাশিয়ায় ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। রবিবার দেশটিতে ১০ হাজারেও বেশি নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু অন্য দেশগুলোর তুলনায় রাশিয়ার মৃত্যুর হার এখনও কম। এদিন দেশটিতে ৫৮ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে, এতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৮০ জনে। এদিন যুক্তরাজ্যে নতুন করে ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালির পর বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যায় দেশটি এখন তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তবে সেখানে প্রাদুর্ভাব সর্বোচ্চ চূড়া পার করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এবং হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যাও হ্রাস পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৩৫ জন, স্পেনে ১৬৪ জন; যা মার্চের মাঝামাঝি সময়ের পর সর্বনি¤œ। ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ১৭৪ জন, যা প্রায় দুই মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ। ফ্রান্সে মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে নতুন রেকর্ড হওয়া মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। কেবল হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। প্যারিসভিত্তিক একটি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রের প্রধান স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ফ্রান্সে গত ২৭ ডিসেম্বর এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তা এর প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভবে ঘোষণা করার কয়েক সপ্তাহ আগে। ইভ কোহেন নামের ওই চিকিৎসক বলেন, ২৭ ডিসেম্বর ২৪ রোগীকে আমরা পরীক্ষা করি, যারা শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এদিকে আগামী ১১ মে থেকে ফ্রান্সে লকডাউন তুলে নেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধাপে ধাপে খোলা হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যও কিছু খুলে দেয়া হবে। মানুষজনকে তাদের বাড়ির ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলাফেরা করতে হবে। এ জন্য তাদের কারণ দর্শাতে হবে না। তবে স্পেনে রবিবার ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত শনিবারের চেয়ে প্রায় ১০০ জন কম।
×