ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

হস্তশিল্পে স্বাবলম্বী দেড় শ’ নারী

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ৯ মার্চ ২০২০

 হস্তশিল্পে স্বাবলম্বী দেড় শ’  নারী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ একটা সময় অভাব ছিল যাদের নিত্যসঙ্গী সেইসব নারীই এখন দাঁড়িয়েছেন নিজের পায়ে। হাল ধরেছেন পরিবারের। হস্তশিল্প বদলে দিয়েছে তাদের জীবনের গল্প। পাটের তৈরি এসব পণ্য চলে যাচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। মেহেরপুরের ভবেরপাড়া গ্রামের মর্জিনা খাতুন। স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলেমেয়ে নিয়ে দিন কাটিয়েছেন খেয়ে না খেয়ে। স্বপ্ন ভঙ্গের গল্পে ভবেরপাড়া চার্চে বেছে নেন হস্তশিল্পের কাজ। স্বল্প সময়েই পাটের পণ্য তৈরি করে হাল ধরেন সংসারের। মর্জিনা খাতুন বলেন, চারটি মেয়েকে লেখাপড়া শিখালাম এই কাজ করে। আমার ছেলে এখন মাছের ব্যবসা করে। তিন মেয়ে আছে শ্বশুর বাড়ি। আর একটা মেয়ে ঘরে আছে, এই মেয়েটাকে নিয়ে আমি হস্তশিল্পের কাজ করে খাচ্ছি। তার মতো অন্তত দেড় শ’ নারী এই কাজের সঙ্গে জড়িত। যাদের সংসারে ফিরেছে আর্থিক সচ্ছলতা। পাট দিয়ে তৈরি করছেন ম্যাটস, ওয়ালম্যাটসহ ৬৫ ধরনের পণ্য। যেগুলো চলে যাচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। শুরুটা ছিল ১৯৭৬ সালে। ভবেরপাড়া চার্চের তৎকালীন ফাদার জন আবেত্তি স্বামীহারা ও ভূমিহীন নারীদের নিয়ে শুরু করেন, পাটজাত পণ্যের ওপর প্রশিক্ষণ। এরপর থেকে কেবলই তাদের বদলে যাওয়ার গল্প।
×