ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বিআইডিএস জরিপের তথ্য

খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন ১৫ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১:৫১, ৯ মে ২০২৪

খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন ১৫ শতাংশ

.

বর্তমানে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশ হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) একটি জরিপের তথ্য উল্লেখ করে মহাপরিচালক বিনায়ক সেন কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাড়তি মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ অসুবিধায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইডিএসে এক বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিনায়ক সেন বলেন, ‘সম্প্রতি বিআইডিএসের পক্ষ থেকে দেশের সব জেলা থেকে তথ্য নিয়েছি। এরপর একটি পদ্ধতিতে মূল্যস্ফীতি হিসাব করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১৫ শতাংশ।

সাধারণ মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএস। তবে বিআইডিএস পৃথক পদ্ধতিতে মূল্যস্ফীতি হিসাব করেছে। বিবিএসের সবশেষ হিসাবে, গত মার্চ মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে দশমিক ৮১ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল দশমিক ৬৭ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্য বলছে, মার্চ মাসে খাদ্য খাদ্যবহির্ভূত উভয় মূল্যস্ফীতিই বেড়েছে। মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৬৪ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে দশমিক ৪৪ এবং দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন জানান, তাঁদের কাছে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, মূল্যস্ফীতির হার বাড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মাছের দাম। গত এক বছরে মাছের দাম ২০ শতাংশের ওপর বেড়েছে। এরপর রয়েছে পোল্ট্রি মুরগির দাম। দেশের পোল্ট্রি খাদ্যের বড় অংশই আমদানিনির্ভর। গত দুই বছরে আমদানি করা এসব খাবারের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে, যা শেষ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। বিনায়ক সেন মনে করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে শুধু সুদহার বাড়ানো বা রকম পৃথক পদক্ষেপ নিলে হবে না। এর সঙ্গে শুল্ক কমানোসহ সমন্বিতভাবে বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে হবে।

বিনায়ক সেন বলেন, পোল্ট্রি খাদ্যে শুল্ক কমানো প্রয়োজন। এটি কমানো হলে তা মাছ মুরগির মতো পণ্যের দাম কমাতে সহায়ক হবে। এতে মূল্যস্ফীতিও কমবে। খাতে শুল্ক কমিয়ে অন্য খাত থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে।

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতাশীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদেরা উপস্থিত ছিলেন। বইটি লিখেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম মান্নান।

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম মান্নান অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্থনীতিবিদদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা সব সময় নরম ভাষায় কথা বলেন।

এটা ভালো। কিন্তু যারা ঋণ খেলাপি হচ্ছে, দিনদুপুরে ব্যাংক থেকে অর্থ সরিয়ে নিচ্ছে, তাদের কেন সরাসরি ডাকাত বলেন না। ডাকাতদের তো ডাকাতই বলতে হবে।

 

×