ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশিক্ষণ নিয়ে বাজিমাত

প্রকাশিত: ০৮:৩৭, ২৬ অক্টোবর ২০১৯

 প্রশিক্ষণ নিয়ে বাজিমাত

স্বাবলম্বী হচ্ছে নওগাঁর মহাদেবপুরে মহিলা অধিদফতর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়া অনেক নারী উদ্যোক্তা। তাদের পরিবারগুলোতে ফিরেছে আর্থিক সচ্ছলতা। এক সময় ওই সব পরিবারের গৃহকর্তাদের একক উপার্জনে সংসার চালাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয়েছে। বর্তমানে উপজেলার অনেক নারী উদ্যোক্তা প্রতিদিন বাড়তি আয় করে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। উপজেলা মহিলা অধিদফতরের উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সেলাই প্রশিক্ষণ, ব্লক বাটিক, বিউটি ফিকেশন, কার্পেট তৈরি, দর্জি প্রশিক্ষণ নিয়ে ইতোমধ্যেই অনেক নারী তদের বসতবাড়িতে এবং বাজারে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন গ্রামের বুলবুল হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ জান্নাতুন ফেরদৌস, মহাদেবপুর সদরের হেমন্ত রায়ের স্ত্রী পূর্ণিমা রায়, নাটশাল গ্রামের রশিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ মঞ্জু আকতার, উপজেলা সদরের ইমরুল হোসেনের স্ত্রী জান্নাতুন নাইম, কামরুল হাসানের স্ত্রী মেরিনা আকতার, মুকুলের স্ত্রী বিপা রানী, আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী খাদিজা খানম, দুলালপাড়ার সাদেকুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস পারভীন, সুলতানপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের কন্যা সাবিনা খানম এবং সুজাইল গ্রামের পূর্ণিমা রায়। এ সব নারী উদ্যোক্তারা জানান, সংসারের সকল কাজ কর্মের পাশাপাশি মহিলা অধিদফতর থেকে ওইসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা বাণিজ্যিক হিসেবে কাজ করছেন। এর ফলে প্রতি মাসে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তি আয় হচ্ছে বলে ওইসব নারী উদ্যোক্তারা জানান। এছাড়াও ওইসব প্রতিটি বিষয়ের প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন সেলাই ও কার্পেট প্রশিক্ষক বাচ্চু মন্ডল, ব্লক বাটিকে হোসনে আরা ববি এবং বিউটিফিকেশনে প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন মিন্নাতুন জান্নাত কণা। এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা অধিদফতরের কর্মকর্তা মোছাঃ আমিনা খাতুন জানান, প্রতি বছরই অনেক নারী উদ্যোক্তা সরকারের এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। এ মহিলা কর্মকর্তা আরও জানান, বিউটি ফিকেশনকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করায় এর ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। -বিশ্বজিৎ মণি, নওগাঁ থেকে
×