ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্ন খেলার মাঠের অভাব

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 রাজধানীতে পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্ন খেলার মাঠের অভাব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর জনসংখ্যা দুই কোটি ছুঁই ছুঁই। সময়ের সঙ্গে শহরে জনসংখ্যা, আকাশচুম্বী ভবন যেমন বাড়ছে তেমনই কমছে চারপাশের সবুজ। আধুনিক নগর জীবনে পার্ক ও মাঠকে বলা হয় ‘নগরের ফুসফুস’। কিন্তু রাজধানীতে পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্ন পার্ক বা খেলার মাঠের বড়ই অভাব। যে কারণে রাজধানীর শিশু-কিশোররা আবদ্ধ হয়ে পড়ছে শিক্ষালয় ও বাসার চার দেয়ালের মধ্যে। নাগরিকদের এমন অসুবিধার কথা মাথায় রেখে আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন প্রকল্পে সংস্কার করা হচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) পার্ক ও খেলার মাঠ। আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন প্রকল্পের আওতায় ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ২২ পার্ক ও চারটি খেলার মাঠ সংস্কার করে অত্যাধুনিকভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে পার্ক ও মাঠ। এর ধারাবাহিকতায় রাজধানীর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের পার্কের উদ্বোধন করলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর সড়কের পার্কের উদ্বোধন করেন তিনি। উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের চারদিকে ইট-পাথর আর কংক্রিটের সুউচ্চ ভবন, রাস্তায় যানবাহনের ভিড়, এরই মধ্যে ক্লান্ত পথিকের হেঁটে চলা। ক্লান্ত পথে নগর জীবনে স্বস্তির খোঁজ পেতে উত্তরার বাসিন্দাদের জন্য সংস্কারের মাধ্যমে পার্কটি খুলে দেয়া হলো। উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর দুই দশমিক ৪৫৯ একর জায়গার ওপর পার্কটি সংস্কার করা হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে প্রায় দুই কোটি ৩২ লাখ টাকা। পার্কে সব বয়সের ব্যবহারকারীদের জন্য বিনোদন ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে পর্যাপ্ত বসার স্থান, প্রায় ৭৫০ মিটার ওয়াকওয়ে। শিশুদের জন্য রয়েছে একটি স্লিপার, দুটি দোলনা, ছোট পরিসরে ক্রিকেট খেলার স্থান। সেই সঙ্গে রয়েছে সম্পূর্ণ আলাদা বাইসাইকেল লেন। রাতে নিরাপদে হাঁটা চলার জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। দৃষ্টিনন্দন গেটসহ চারপাশে বাউন্ডারি গ্রিলের ভিতর একটি উন্নতমানের পাবলিক টয়লেট। সেই সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে প্রায় ১০০ প্রজাতির বৃক্ষ রোপণের মাধ্যেমে সবুজায়ন করা হয়েছে। উদ্বোধনকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় এমন ২৪ পার্ক নাগরবাসীর জন্য চালু করা হবে। এসব পার্কে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করছি যেন কর্মজীবীরা কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর, রাতেও যেন পার্কে বসতে পারেন। পাশাপাশি যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এটাকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
×