ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশে উচ্চশিক্ষার এ টু জেড

প্রকাশিত: ১২:১১, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বিদেশে উচ্চশিক্ষার এ টু জেড

সৈয়দা সায়মা চৌধুরী যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করার জন্য গিয়েছেন ২০১৬ সালে। বাজারজাতকরণ নিয়ে তিনি একটি লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। তিনি বলছেন, ‘যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে হলে আগে থেকে পরিকল্পনা করা জরুরী। অন্তত এক বছর আগে থেকেই সেই পরিকল্পনা শুরু করতে হবে। সেই সঙ্গে নিজের আর্থিক সামর্থ্য বুঝে শহর ও বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করতে হবে।’ প্রথমেই দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই সায়মা চৌধুরী বলছেন, ‘প্রথমেই একজন শিক্ষার্থীকে ঠিক করতে হবে তিনি কোন দেশে পড়তে যেতে চান। কারণ একেকটি দেশের পড়াশোনা, খরচ, ভর্তি চাহিদায় পার্থক্য আছে। দেশ বাছাইয়ের পরে ঠিক করতে হবে যে, আমার সাবজেক্ট ও আর্থিক সামর্থ্যরে সঙ্গে মিলিয়ে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যেতে পারে। এক্ষেত্রেও একেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বা চাহিদা, টিউশন ফির সঙ্গে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য থাকে।’ ঢাকায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের আঞ্চলিক সমন্বয়ক তাওসিফ মান্নান খান বলছেন, ‘যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশে সেপ্টেম্বরে ভর্তি সেশন শুরু হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে অন্তত এক বছর আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করা উচিত। বিশেষ করে ইংরেজীর ভর্তি চাহিদা যেমন, আইইএলটিএস বা অন্যান্য চাহিদা প্রস্তুতি করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ, আবেদন ইত্যাদি অন্তত একবছর আগে থেকে শুরু করতে হবে।’ তিনি বলছেন, যে বিষয়ে পড়তে চান, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে। সেই সঙ্গে দেখতে হবে আপনার আর্থিক সামর্থ্য এবং পছন্দের সঙ্গে মিলছে কিনা। যেসব প্রস্তুতি দরকার হবে ভাষা দক্ষতার প্রমাণ : যেমন আইইএলটিএস, টোফেল, স্যাট অথবা জিআরই। একেকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে এসব চাহিদার পার্থক্য থাকতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় দেশগুলোর বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএসে ব্যান্ড স্কোর অন্তত ৬ থাকা দরকার। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এর চেয়ে বেশিও চাইতে পারে। তবে আমেরিকাসহ আরও দেশের কোন কোন সাবজেক্টে টোফেল, স্যাট বা জিআরই দরকার হতে পারে। জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন, নরওয়ের মতো ইউরোপীয় দেশে পড়তে গেলে যেমন ইংরেজীতে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে, আবার অনেক ক্ষেত্রে সেই দেশের ভাষার দক্ষতা দরকার হতে পারে। বিশেষ করে জার্মানির মতো দেশে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ নিতে হলে জার্মান ভাষা জানতে হবে। পড়াশোনার ফলাফল বাংলাদেশে পড়াশোনার ফলাফলের ওপর ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বা বিষয়ে ভর্তির ব্যাপারটিও অনেক সময় নির্ভর করে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমেইল করেও পরামর্শ চাওয়া যেতে পারে। অনেক সময় ইংরেজী দক্ষতার ব্যান্ডস্কোরও ভর্তি বা বিষয় পাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। ভর্তির প্রক্রিয়া নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন ইত্যাদি দেশের কেন্দ্রীয় ভর্তি ব্যবস্থাপনার ওয়েবসাইট আছে। সেখানে আবেদন করলে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় বেছে দেয়া হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। সেখানে পড়াশোনার সকল সনদ কাগজপত্র স্ক্যান করে তুলে দিতে হতে পারে। পাশাপাশি এসব সেগুলোর ফটোকপি কুরিয়ার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় পাঠাতে হতে পারে। সাধারণত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আবেদন গ্রহণ বা বাতিলের সিদ্ধান্ত ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হয়। আবেদনপত্র গ্রহণ করা হলে ভিসা আবেদনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণপত্র ভিসা আবেদনের সময় আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ দেখাতে হবে। প্রায় সব দেশেই শিক্ষার্থী ভিসার ক্ষেত্রে দূতাবাস কর্মকর্তারা দেখতে চাইবেন যে, শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ও থাকা-খাওয়ার খরচ সে বহন করতে সক্ষম। দেশ ভেদে টিউশন ফি হিসাবে অন্তত বছরে অন্তত ১০/১২ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২০/২২ লাখ টাকা খরচের সামর্থ্য থাকতে হবে। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীর থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, পোশাক, হাতখরচ, চিকিৎসা যোগ করতে হবে। লন্ডনের ক্ষেত্রে যেমন এক্ষেত্রে বছরে আরও অন্তত ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখতে হবে। এই খরচের টাকা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেমিস্টারের ফি অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়। অনেক দেশে স্বাস্থ্যবীমা থাকা বাধ্যতামূলক। সেটি অবশ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন বীমা এজেন্সি করে থাকে, যেসব এজেন্সির নাম দূতাবাসের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আবাসন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পূর্বেই জানাতে হবে যে, তারা সেই আবাসন সুবিধা নিতে চান কিনা। অথবা শিক্ষার্থীরা চাইলে নিজেরা আলাদাভাবে বাসা ভাড়া করেও থাকতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত নিজেদের রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। বৃত্তির জন্য আবেদন আবেদনের সময় উল্লেখ করতে হবে যে বৃত্তি নিতে চান কিনা। একই সময় বৃত্তির জন্যই প্রস্তুতি নিতে হবে। ভারত, তুরস্ক, জার্মানি, জাপান, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারীভাবেই নানা ধরনের বৃত্তি রয়েছে। এরকম বিখ্যাত কয়েকটি বৃত্তি হলো জাপানের মনবুশো বৃত্তি ও মনবুকাগাকুশো বৃত্তি, এমএইচটিটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম, জার্মানির ডিএএডি, অস্ট্রেলিয়ার ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ, যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ স্কলারশিপ, শেভেনিং স্কলারশিপ, যুক্তরাষ্ট্রের ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্টস প্রোগ্রাম, কানাডার হাম্বার ইন্টারন্যাশনাল এন্ট্রান্স স্কলারশিপ ইত্যাদি। এছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীদের পূর্ণ বা আংশিক বৃত্তির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন দেশের দূতাবাস বা সরকারী বৃত্তির নোটিস পাওয়া যাবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনলাইনেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে বৃত্তির আবেদন করা যেতে পারে। ভিসা ভিসা আবেদনের সময় আবেদন পত্রের কাগজপত্রের মধ্যে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির অফার লেটার থাকতে হবে। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীর আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ, অর্থাৎ ব্যাংক হিসেবে নিজের নামে বা গ্যারান্টারের নামে পর্যাপ্ত অর্থের ব্যবস্থা থাকতে হবে। শিক্ষার্থী ভিসার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা ঢাকায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের আঞ্চলিক সমন্বয়ক তাওসিফ মান্নান খান বলছেন, ‘যুক্তরাজ্যে যারা স্নাতক বা আন্ডারগ্রাজুয়েট পর্যায়ে পড়তে যেতে চান, তারা টঈঅঝ ওয়েবসাইটের গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত সকল কাজ করতে পারেন। কারণ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি তথ্য, আবেদনের প্রক্রিয়াসহ সব তথ্য পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়েও সেখানকার ভর্তি তথ্য, খরচ, আবেদনের প্রক্রিয়া ও অনলাইনে আবেদন করা যায়।’’ তিনি বলছেন, একেকটি শহর ও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে পড়াশোনার খরচ ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন লন্ডনে পড়তে গেলে যে খরচ লাগবে, অন্য শহরে হয়তো খরচ কম হবে। যুক্তরাজ্যে আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্সগুলো তিন বছরের হয়ে থাকে। পড়াশোনার সময় শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খ-কালীন কাজ করতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা আমেরিকার বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। ঢাকায় আমেরিকান সেন্টারে গিয়ে এ ব্যাপারে পরামর্শ ও তথ্য সহায়তা নেয়া যেতে পারে। শিক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী ওয়েবসাইট ‘এডুকেশনইউএসএ’ দেশটিতে ভর্তি, বিশ্ববিদ্যালয়, ডেডলাইন, প্রক্রিয়া সম্পর্কে সকল তথ্য পাওয়া যাবে। আমেরিকান সেন্টারের ওয়েবসাইটে পড়াশোনার ব্যাপারে পাঁচটি গাইডলাইন দেয়া রয়েছে। এগুলো দেখে পুরো আবেদনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যেতে পারে। অস্ট্রেলিয়া বিদেশে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সহায়তা করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠান স্টুডেন্ট ওয়ার্ল্ডের কর্মকর্তা আমরিন কবির বলছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার জন্য আইইএলটিএস ও এইচএসসির পরীক্ষার জিপিএ খুব গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়। এর ওপরে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া নির্ভর করবে। এটা যত ভাল হবে, সে তত ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন।’ তিনি বলছেন, ‘যদিও প্রকাশ্যে বলা হয় না, তবে ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ভাল আইইএলটিএসের স্কোরটি অনেকটা ভূমিকা রাখে।’ কানাডা কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে আইইএলটিএস অবশ্যই থাকতে হবে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবসাইট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে ভর্তি তথ্য, আবেদনের প্রক্রিয়াসহ সব তথ্য বিস্তারিতভাবে থাকে। সব কাগজপত্রের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি অগ্রিম পাঠাতে হবে। তারা শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পাঠানো হয়। এরপর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সেখানেও পড়াশোনা করে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে চাকরি ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ তৈরি হতে পারে। ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার খরচ অনেকটা বাংলাদেশের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচের মতোই। বাংলাদেশসহ বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ভারত সরকারের নানা স্কলারশিপ রয়েছে। ঢাকার ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানা যেতে পারে। চীন গত কয়েক বছর ধরে অনেক বাংলাদেশী চীনে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন। ঢাকার বেশ কিছু শিক্ষার্থী সহায়ক প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে সহায়তা করে থাকে। তবে চীনে পড়তে গেলে আগে চীনা ভাষা শিখতে হবে। ঢাকায় এখন এরকম বেশ কিছু ভাষা শেখানোর প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। চীনে পড়াশোনা করে এসে এখন ঢাকার একটি চীনা মোবাইল ফোন কোম্পানিতে কাজ করছেন মোঃ মুরাদ খান। তিনি বলছেন, ‘আমি ঢাকার একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চীনা ভাষা শেখার পরে চীনের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছিলাম। তার একটিতে বৃত্তির সুযোগ পাওয়ায় চীনে গিয়ে চার বছর পড়াশোনা করেছি। জার্মানি জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী ও জার্মান ভাষায় পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন টিউশন ফি দিতে হবে, আবার জার্মান ভাষার অনেক প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে এখনও জার্মানিতে বিনা বেতনে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। তবে সেজন্য জার্মান ভাষার দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী বর্তমানে মালয়েশিয়াতে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস রয়েছে সেখানে। বিনা বেতনে পড়াশোনা নরওয়ে এবং ফিনল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে থাকা-খাওয়ার খরচ মেটাতে স্কলারশিপও পাওয়া যেতে পারে। সুইডেনে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে ভর্তি করা হয়। সেখানে আবেদন করার পর যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত হবে। ইউরোপের অন্যান্য দেশে পড়াশোনা বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, স্লোভাকিয়াসহ অনেক দেশে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে যারা ইংরেজী ভাষায় পড়তে চান, তাদের আগেই দেখে নিতে হবে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী ভাষায় কোন কোর্সগুলো রয়েছে। সূত্র: বিবিসি
×