ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সারতাজ আলীম

সিনেমার ইতিহাসের যত মাইলফলক

প্রকাশিত: ০৯:১০, ৪ জুলাই ২০১৯

সিনেমার ইতিহাসের যত মাইলফলক

ঝিরঝিরে আবছা কিছু ছবি থেকে আজকের ঝলমলে সিনেমা... সিনেমার পথচলা শুরু হয়নি একদিনে। ফলে ইতিহাসের ঠিক কোথা থেকে সিনেমার জন্ম সেটা নির্দিষ্ট করে কেউই বলেন না। শুরু যেখান থেকেই হোক, প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে চলছে সিনেমাও। গত শতাব্দীর শুরুতে যেমন মানুষ থ্রিডি প্রযুক্তির মতো কিছু ভাবতেও পারত না হয়ত তেমনি ভবিষ্যতেও এমন কিছু আসবে যেটা আজ তা ভাবে না কেউই। একনজরে দেখে নেয়া যাক সিনেমার ৬০-এর দশক থেকে বর্তমান পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো। ১৯৬০-৭০ : হলিউডের বড় স্টুডিওগুলোতে বাড়তে থাকে বিনিয়োগ। ‘বিগ সিক্স’ খ্যাত ৬ স্টুডিও কিনে নিতে থাকে ছোট ছোট অনেক প্রতিষ্ঠানকে। ১৯৬৫- ফ্রেঞ্চ নিউওয়েভের মতো হলিউডেও নতুন যুগের সূচনা। জীবন সমাজের বাস্তব গল্প ফুটে উঠতে শুরু করে এসব সিনেমাতে। ১৯৬৮- সিনেমার রেটিং আনে মোশন পিকচারস। G, PG, R, X দিয়ে সংজ্ঞায়িত করা এই রেটিংয়ের কিছু কিছু এখনও ব্যবহার হয়। ১৯৬৯- ক্যাটাগরির সিনেমা মিডনাইট কাউবয় অস্কার জিতে নেয়। ১৯৭০- হলিউডে কাটিং এজ স্টাইলে সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু। ১৯৭২- প্রথম সিনেমা হিসেবে ৯-এর ওপর রেটিং তুলে গডফাদার। এই বছরই ভিএইচএস-এ সিনেমা মুক্তি পায় ১৯৭৬- জাপানে প্রথম ভিএইচএস রেকর্ডারের ব্যবহার শুরু। ১৯৭৬- ‘রকি’ সিনেমায় প্রথম স্টেডিক্যাম ব্যবহার। গতিশীল শট নিতে এ ধরনের ক্যামেরা জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ক্যামেরার ঝাঁকুনি থেকে মুক্তি মেলে। ১৯৮০- হলিউডে কাজ করতে শুরু“করেন সর্বকালের সেরা হ্যান্স জিমার। ১৯৮১- ৪র্থ বারের মতো অস্কার জয় করেন ক্যাথরিন হেপবার্ন এই বছরই যাত্রা শুরু করে এমটিভি। ১৯৮৭- প্রিমিয়ার ম্যাগাজিনের প্রকাশনা শুরু“ ১৯৯৩- ওয়েবসাইট হিসেবে আইএমডিবি’র যাত্রা শুরু।“ ১৯৯৪- সর্বকালের সেরা ছবি দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশনের মুক্তি। মহাকাব্যিক এই ছবিকে প্রকাশ করার মতো কোন ভাষা যেন জানা নেই কারও। ১৯৯৫- পূর্ণ সিজিআই এ্যানিমেশন ফিল্ম টয় স্টোরি। ১৯৯৬- ১ম সপ্তাহেই ১০০ মিলিয়ন তোলার রেকর্ড গড়ে ইনডিপেনডেন্স ডে। ১৯৯৭- টাইটানিকের মুক্তি। ১৯৯৯- ডিজিটাল প্রজেক্টর দিয়ে সিনেমা প্রদর্শন শুরু এবং রিল যুগের অবসান। ২০০১- অস্কারে নতুন বিভাগের সূচনা। প্রথমবারের মতো সেরা এ্যানিমেটেড ফিচার ফিল্মের পুরস্কার পায় স্রেক। হ্যারি পটার এবং লর্ড অব দ্য রিংসের যাত্রা শুরু“ ২০০২- প্রথম কোন জাপানী সিনেমা ‘দ্য রিং’-এর পশ্চিমা রিমেক নির্মাণ। ২০০৩- সিনেমার ডিভিডি, সিডি বিক্রির আয় বক্স অফিসের আয়কে ছাড়িয়ে যায়। ২০০৬- ৭.৪ বিলিয়ন ডলারে পিক্সার এ্যানিমেশনকে কিনে নেয় ওয়াল্ট ডিজনি। ২০০৯- সর্বকালের সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার খেতাব পায় ‘এ্যাভাটার’। ২০১১-এযাবতকালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান : অন স্ট্রেঞ্জার টাইডস মুক্তি পায়। ৩৭৯ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল সিনেমাটি নির্মাণে। ২০১২- সেকেন্ডে ৪৮ ফ্রেমে দ্য হবিট সিনেমা রেকর্ড হয়।
×