ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতে স্বজনের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া, কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকে

নিজেকে নির্দোষ দাবি ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলাকারীর

প্রকাশিত: ০৯:০২, ১৫ জুন ২০১৯

 নিজেকে নির্দোষ দাবি ক্রাইস্টচার্চ  মসজিদে হামলাকারীর

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলাকারী ব্রেন্টন হ্যারিসন ট্যারেন্ট শুক্রবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা একাধিক হত্যা ও সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে ৫১ মুসল্লিকে নামাজরত অবস্থায় হত্যা, ৪০জনকে হত্যাচেষ্টা ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের অভিযোগসহ মোট ৯২টি অভিযোগ আনা হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চ হাইকোর্টকে ট্যারেন্টের আইনজীবী বলেন, তার মক্কেল সব অভিযোগে দোষী নন। অকল্যান্ডের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কারাগার থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেয় ট্যারেন্ট। ট্যারেন্টের আইনজীবী যখন তার মক্কেলের দেয়া বিবৃতি পড়ে শোনান তখন আদালত কক্ষে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। হামলা থেকে বেঁচে যাওয়াদের কয়েকজন ও নিহতদের স্বজনরা শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অনেকে ডুকরে কেঁদে ওঠেন। আদালতের বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডার বলেছেন, আগামী বছরের ৪ মে পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম চলবে, আর ১৬ আগস্ট পরবর্তী শুনানির আগ পর্যন্ত কারাগারে ট্যারেন্টের রিমান্ড চলবে। কারাগারে ট্যারেন্টের হাসিখুশি মুখ দেখে অনেকে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ট্যারেন্টের হামলায় আহত মোস্তফা বোজাতাস আদালতের বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, তার হাসিমাখা মুখ প্রমাণ করে যে সে একটি পশু। আমি এতে খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছি যে, কেউ এত অমানবিক হতে পারে ও নির্দোষ মানুষের জীবন নিয়ে নিতে পারে। লিনউড মসজিদে হামলার সময় ট্যারেন্টকে বাধা দেন ও তাকে দৌড়ে ধরে ফেলেন আবদুল আজিজ। তিনি বলেন, তিনি একজন অভিযুক্তের মুখ দেখতে চেয়েছিলেন। তিনি আদালতে হাসছিলেন। তিনি মনে করেন, হামলার সময় ট্যারেন্ট খুবই অভদ্র ছিলেন। তবে তিনি যখন আমার মুখোমুখি হন তখন তিনি কাপুরুষোচিত আচরণ করেন ও দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। সেই সময় পর্যন্ত তিনি দাঁড়িয়ে থাকার মােত কোন লোক ছিলেন না। এখন তিনি দাঁড়িয়ে আছেন ও হাসছেন। একটি কারাগারে তাকে ও আমাকে একসঙ্গে মাত্র ১৫মিনিটের জন্য রাখুন। তাহলে আমি তাকে দেখে নিতাম কিভাবে সে আর হাসতে পারে। -ওয়েবসাইট
×