ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১১:১৬, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুতে দায়ী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সভা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন ছাত্র-শিক্ষক’ ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন ও অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অংশ নেয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, উইমেন এ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সানজিদা আখতার, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ, প্রভাষক মার্জিয়া রহমান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফাসহ বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, থানার যে দারোগা মামলায় প্রকৃত অপরাধীকে এজাহারভুক্ত করেননি, আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। তবে আমরা খুশি হয়েছি যে তাকে ‘ক্লোজআপ’ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা শুধু এটুকুতেই সন্তুষ্ট হব না, আমরা এই দারোগার শাস্তি দাবি করব, কেন সে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে মামলা গ্রহণ করল না। যদি তা করত তাহলে হয়ত ট্রাজেডি এতদূর অগ্রসর হত না। তিনি আরও বলেন, যদি এই অপরাধীদের শনাক্ত করে প্রমাণ করে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয় তাহলে আমরা আবার আসব, আবার দাঁড়াব। আমরা বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ। নুসরাতের শক্তিকে আমরা অভিনন্দন জানাই যে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সে বিচার চেয়েছিল। অধ্যাপক ড. সানজিদা আখতার বলেন, খুনী সিরাজের আমরা দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে চাই। একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমাদের জন্য অনেক বড় চাওয়া। আমরা এরকম একটি উদাহরণ সমাজে সেট করতে চাই, যার মাধ্যমে সকলে অনুভব করতে পারবে নারী নির্যাতন কি ভয়ঙ্কর একটি অপরাধ। তিনি বলেন, যখন একজন নুসরাতকে পুড়িয়ে মারা হয় তখন আমরা বুঝতে পারি এই আধুনিকতার যুগেও, এই উন্নয়নের যুগেও আমরা কতখানি মধ্যযুগীয় অবস্থায় রয়ে গিয়েছি। সেই মধ্যযুগীয় অবস্থা থেকে আমাদের যদি উত্তোরণ না ঘটানো যায়, নারী পুরুষের সমতা যদি প্রতিষ্ঠিত না হয়, ঘরে বাইরে সর্বোত্র যদি নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত না হয় তাহলে কোনকিছুই অর্থবহ হয়ে দাঁড়াবে না। অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন বলেন, ২০১০ সালে হাইকোর্ট থেকে বলা হয়েছিল প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল গঠন তৈরি করতে হবে। সেটি আইন আকারে কিন্তু সেই জিনিসটাকে আমরা আইনী মনে করেছিলাম। আমরা এটিকে আইনে পর্যবেশিত করার জন্য সরকারের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাই।
×