ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আড়াই হাজারে হচ্ছে জাপানী অর্থনৈতিক অঞ্চল

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ৭ মার্চ ২০১৯

আড়াই হাজারে হচ্ছে জাপানী অর্থনৈতিক অঞ্চল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জাপানী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প ৫ মার্চ অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। ‘নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উদ্যোগে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এতে ব্যয় হবে ২ হাজার ৫৮২ কোটি ১৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করবে ৪৫৪ কোটি ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা এবং জাপানের প্রকল্প সাহায্য করবে ২ হাজার ১২৭ কোটি ৮২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য ভূমি ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা এবং এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানিজ ও স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে পরিবেশ তৈরি করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়। প্রকল্পের যৌক্তিকতায় বলা হয়েছে, দেশের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকার ‘বেজা’র মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২০১৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত মোট ৭৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৫৬টি সরকারীভাবে এবং অবশিষ্ট ২৩টি বেসরকারীভাবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যতে জাপানিজ ও স্থানীয় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে শিল্প উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে রফতানি আয় বাড়বে এবং অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্প সূত্র জানায়, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প (আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ ও মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল: প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্পের আওতায় ‘বেজা’ ইতোমধ্যে আড়াইহাজারে ৯৯১ দশমিক ৪৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘জাপান এই মুহূর্তে আমাদের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু। সেই জাপানীদের জন্য, তাদের সঙ্গে আমাদের দেশীয়দের নিয়ে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে আড়াইহাজারে। আমি ইতোমধ্যে ঘুরেও এসেছি। এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে দেয়া হবে। তারপর তারা তাদের মতো বাকিটা করবে। এটা জাইকার মাধ্যমে করা হবে। এটা দেখভাল করবে বেজা। বেজা আবার প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে সরাসরি তদারকি হয়। এটি নতুন প্রকল্প।’
×