ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কিউবায় শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাত

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

কিউবায় শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাত

কিউবার রাজধানী হাভানায় টর্নেডোতে অন্তত চারজন নিহত ও দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। কিউবার আবহাওয়াবিদ হোসে রুবিয়েরা জানিয়েছেন, রবিবার রাতের এই ঝড়টি ছিল ৮০ বছরের মধ্যে কিউবায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টর্নেডো। ইয়াহু নিউজ। এ ঝড়ের তা-বে ঘরবাড়ির ছাদ উড়ে গেছে, গাড়ি উল্টে পড়েছে এবং কয়েকটি ভবন ভাঙ্গাচোরা ইটের স্তূপে পরিণত হয়েছে। মোটামুটি এক কিলোমিটার ব্যাপ্তির এই দানবীয় টর্নেডো প্রায় ১৬ মিনিট ধরে হাভানার মধ্য দিয়ে সাড়ে ১১ কিলোমিটারের পথ জুড়ে তা-ব চালায়। মূলত হাভানার পূর্বাংশ ও কেন্দ্রীয় এলাকাতেই বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার সকালে এই এলাকার সড়কগুলোতে ভাঙ্গা কাঁচ, বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষের পাশাপাশি উপড়ে পড়া গাছ ও বৈদ্যুতিক লাইন দেখা গেছে। টর্নেডোর পর কয়েকটি এলাকা বিদ্যুতবিহীন হয়ে পড়ে, এতে পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। টর্নেডো আঘাত হানার কিছুক্ষণ পর কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ কানেল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। এরপর এক টুইটে প্রাথমিকভাবে তিনজন নিহত হওয়ার কথা জানান। পরে সোমবার সন্ধ্যায় কিউবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম চারজন নিহত ও ১৯৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানায়। হাভানার রেগলা এলাকার বাসিন্দা ৫১ বছর বয়সী ওদালিস দিয়াজ জানান, পাশের পাঁচ তলা একটি ভবনের ছাদ ধসে তার প্রতিবেশীর বাড়ির ওপর পড়ার পর তার মৃত্যু হয়। রুবিয়েরা জানিয়েছেন, টর্নেডোটি ইনহ্যান্স ফুজিতা স্কেলে ‘ইএফ৪’ মাত্রার ছিল বলে এর ধ্বংসক্ষমতা থেকে ধারণা পাওয়া গেছে। এটি এই স্কেলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শক্তিশালী ক্যাটাগরির টর্নেডো যার বাতাসের সর্বোচ্চ বেগ ঘণ্টায় ৩২২ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কঠোর হওয়ার কারণে হারিকেন ঋতুতে কিউবায় মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলক কম। কিন্তু এ টর্নেডোটি হাভানাকে অপ্রস্তুত করে দিয়েছে। উত্তর থেকে আসা ঠা-া বাতাস ও দক্ষিণ থেকে আসা তুলনামূলক উষ্ণ বাতাস বজ্রঝড় ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণ হতে পারে বলে পূর্বাভাসে আগেই সতর্ক করেছিল রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। কিন্তু ছোট পরিসরে তা-ব চালানো টর্নেডোর মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আভাস অনুমান করা প্রায় অসম্ভব বলে পরে জানিয়েছেন রুবিয়েরা।
×