ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটে প্রাঙ্গণেমোরের ‘হাছন জানের রাজা’ নাটকের তিন প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৭:১০, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮

সিলেটে প্রাঙ্গণেমোরের ‘হাছন জানের রাজা’ নাটকের তিন প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের প্রথম সারির নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর মঞ্চে নিয়ে এসেছে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, রামপাশা, লক্ষ্মণ শ্রী আর সিলেটের একাংশ নিয়ে পাঁচ লাখ বিঘার বিশাল অঞ্চলের জমিদার ও মরমী গীতিকবি হাছন রাজাকে নিয়ে নাটক ‘হাছন জানের রাজা’। বিশিষ্ট লেখক শাকুর মজিদের লেখা ও অনন্ত হিরার নির্দেশনায় নাটকটি এবার মঞ্চায়িত হবে হাছন রাজার নিজের বিভাগ সিলেটে। এর মধ্যে আজ ৬ ডিসেম্বর সিলেট স্টেশন ক্লাব মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চায়িত হবে। এরপর আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর সিলেটের নজরুল অডিটরিয়ামে এবং আগামী ৯ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ হাছন রাজা অডিটরিয়ামে ‘হাছন জানের রাজা’ নাটকটি মঞ্চায়িত হবে। ‘হাছন জানের রাজা’ নাটকটি প্রাঙ্গণেমোরের ১৩তম প্রযোজনা। ‘হাজন জানের রাজা’ নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন রামিজ রাজু এবং অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন আউয়াল রেজা, মাইনুল তাওহীদ, সাগর রায়, শুভেচ্ছা রহমান, সবুক্তগীন শুভ, জুয়েল রানা, আশা, প্রকৃতি, প্রীতি, সুজয়, নীরু, সুমন, বাঁধন ও রুমা। এ নাটকের মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন ফয়েজ জহির, সঙ্গীত পরামর্শক হাছন রাজার গানের জনপ্রিয় শিল্পী সেলিম চৌধুরী, সঙ্গীত পরিকল্পনা রামিজ রাজু, আলোক পরামর্শক বাংলাদেশের প্রবীণ আলোক পরিকল্পক ঠা-ু রায়হান, আলোক পরিকল্পনা তৌফিক আজীম রবিন এবং পোশাক পরিকল্পনা করেছেন নূনা আফরোজ। নাটকের গল্পে তুলে ধরা হয়েছে হাছন রাজা (১৮৫৪-১৯২২) বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার একজন সামন্তপ্রভু ছিলেন। পিতা ও মাতা উভয়ের কাছ থেকে পাওয়া বিশাল জমিদারির মালিকানা চলে আসে কিশোর বয়সে। অর্থ, বেহিসাবী সম্পদ আর ক্ষমতার দাপটে বেপরোয়া জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। জাগতিক লোভ-লালসা, ক্ষমতায়ন, জবর-দখল করেও তিনি তার প্রতিপত্তি বাড়ানোর কাজে প্রবৃত্ত ছিলেন। কিন্তু এক সময় তার ভেতরের ভ্রান্তি ঘুচে যায়। মধ্য পঞ্চাশে এসে তিনি ভিন্ন এক মানুষে পরিণত হয়ে যান। তাঁর বোধ হয় যে এ জগত সংসারের সব অনাচারের মূলে আছে অতিরিক্ত সম্পদ। কিছু দিনের জন্য অতিথি হয়ে আসা মানুষেরা আসলে মহাশক্তির কাছে একেবারে নশ্বর। তিনি তাঁর সম্পদ জনকল্যাণের জন্য উইল করে দিয়ে কয়েকজন সঙ্গিনীকে নিয়ে হাওড়ে হাওড়ে ভাসতে থাকেন। আর এর মধ্যে খুঁজতে থাকেন সেই মহান স্রষ্টাকে। সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজতে খুঁজতে এক সময় আবিষ্কার করেন, তাঁর নিজের মধ্যেই তাঁর বাস। তাঁর যে পিয়ারীকে সবাই হাছন জান বলে জানে, সেই আসলে হাছন রাজা। জগতের মানুষের কাছে যিনি রাজা বলে চিহ্নিত ছিলেন, হাছন রাজার কাছে সে কেউ নয়, বরং পিয়ারী হাছন জানের ভেতরেই প্রকৃত হাছন রাজা বিরাজমান ছিলেন।
×