ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

খাশোগি হত্যাকাণ্ড

সৌদি সরকার সরাসরি দায়ী ॥ এরদোগান

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ৪ নভেম্বর ২০১৮

সৌদি সরকার সরাসরি দায়ী ॥ এরদোগান

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় প্রথমবারের মতো সরাসরি সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার একটি নিবন্ধে এরদোগান লিখেছেন, ‘খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এসেছে’। খবর বিবিসির। তবে সেখানে তুরস্কের সঙ্গে সৌদি আরবের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করে তিনি এমনটাও বলেছেন, এই ঘটনায় বাদশাহ সালমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা করা হয় জামাল খাশোগিকে। তুরস্কের তদন্তকারীদের ধারণা তুরস্কের একজন নাগরিকের সঙ্গে বিয়ে করার উদ্দেশে সৌদি কনস্যুলেটে প্রযয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে গেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকা সাংবাদিক খাশোগিকে। তার লাশ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রেসিডেন্ট এরদোগানের দলের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, তার ধারণা খাশোগির লাশ টুকরো টুকরো করে এসিডে গলিয়ে ফেলা হয়েছে। শুরুতে এই হত্যার কথা স্বীকার না করায় সৌদি আরবের সঙ্গে তাদের মিত্র দেশগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। পরবর্তী সময়ে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন ১৮ জনকে আটক করে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। তুরস্ক চায় এই ১৮ জনকে যেন তাদের হাতে প্রত্যার্পণ করা হয়। ‘সৌদি আরবে আটক হওয়া ১৮ জনের মধ্যেই হত্যাকারীরা রয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত’ ওয়াশিংটন পোস্টে লিখেছেন এরদোগান । ‘আমরা এও জানি যে তারা শুধু একটি নির্দেশ পালন করছিল, খাশোগিকে হত্যা করে পালিয়ে যাও। এবং খাশোগিকে হত্যা করার এই নির্দেশটি যে সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে এসেছে সে বিষয়েও আমরা নিশ্চিত। এরদোগান বলেন, ‘আর কখনও ন্যাটো জোটভুক্ত কোন দেশের মাটিতে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার সাহস যেন কেউ না পায়। হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে থাকে, তাহলে তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।’ খাশোগি কনস্যুলেটের ভেতরেই মারা গেছেন বলে সৌদি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করলেও তার লাশ কোথায় এ প্রশ্নের জবাব বরাবরই এড়িয়ে গেছে। এ সপ্তাহের শুরুতে একজন তুর্কী কৌঁসুলি বলেন, তদন্তকারীদের বিশ্বাস তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী খাশোগিক শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ টুকরো করে ধ্বংসও করা হয় পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক। একসময় সৌদি রাজপরিবারের উপদেষ্টা ছিলেন জামাল খাশোগি। গত বছর দেশটির সরকারের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয় এবং তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান। তারপর থেকে সৌদি সরকার এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একজন সমালোচক হিসেবে পরিচিত হতে শুরু করেন তিনি।
×