ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভেদা মাছের কৃত্রিম প্রজননে সাফল্য

প্রকাশিত: ০৪:২১, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

 ভেদা মাছের কৃত্রিম প্রজননে  সাফল্য

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলাসহ আশপাশের খাল-বিল ও নদী-নালাসহ উন্মুক্ত জলাশয় থেকে প্রায় ৩ দশক আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ভেদা (স্থানীয় ভাবে নুনা মাছ নামে পরিচিত) মাছ ফের ফিরে আসার সুখবর মিলেছে। সান্তাহার প্লাবন ভূমি মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় কৃত্রিম প্রজননে মিলেছে সাফল্য। শীঘ্রই এ মাছ হাতের নাগালে মিলবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) প্লাবনভূমি কেন্দ্র সান্তাহারের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ডেভিট রেন্টু দাস। তিনি দাবি করেছেন গত ৩ বছরের অক্লান্ত চেষ্টায় ভেদা মাছের কৃত্রিম প্রজনন কৌশল উদ্ভাবনে সফলতা পেয়েছেন। ফলে এখন থেকে সুস্বাদু প্রজাতির এ মাছ পুকুরসহ যে কোন জলাশয়ে চাষ করা যাবে। তিনি জানান, এই কেন্দ্রে বর্তমানে বৈদেশিক অর্থ অর্জন করা কুচিয়া মাছের কৃত্রিম প্রজনন নিয়ে গবেষণা চলছে। কুচিয়া মাছের কৃত্রিম প্রজনন বিষয়ে গবেষণার নিয়মিত কাজের বাইরে নিজ উদ্যোগে বিলুপ্ত ভেদা মাছের কৃত্রিম প্রজনন উদ্ভাবন নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। এর আগে ২০০০ সালের প্রথম দিকে এখানে ভেদা মাছের কৃত্রিম প্রজনন বিষয়ে গবেষণা প্রকল্প নিয়ে কাজ করা হলেও তখন সফলতা মেলেনি। মৎস্য বিজ্ঞানী ড. ডেভিট রেন্টু দাস জানান, এর পর থেকে এ মাছের কৃত্রিম প্রজনন নিয়ে নতুন করে গবেষণা করা হয়নি। বর্তমানে নতুনভাবে করা গবেষণায় সফলতা পাওয়ার ফলে প্রচুর পুষ্টি সমৃদ্ধ ভেদা মাছ এখন খামারিরা ছাড়াও যে কেউ তার পুকুরে চাষ করতে পারবেন। তিনি জানান, ভেদা মাছ মাংশল ও চর্বিহীন এবং খেতে খুব সুস্বাদু। তিনি বলেন, ফসলে অপরিকল্পিতভাবে ও মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক এবং রাসায়নিক সার প্রয়োগসহ বিভিন্ন কারণে এ অঞ্চলের জলাশয় থেকে এ মাছটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সে কারণে পুকুর পর্যায়ে নিয়ে যেতে প্লাবণ ভূমি কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের চেষ্টা ছিল এবং তারা সফলও হয়েছেন। উদ্ভাবিত নতুন কৌশল কাজে লাগিয়ে সান্তাহার প্লাবন ভূমি গবেষণা কেদ্র এলাকা; আদমদীঘি উপজেলার মৎস্য চাষীরা এই মাছ পুকুরে চাষ করে সফলতা পেয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন। উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ডেভিড রেন্টু দাস আরও বলেন, চলতি প্রজনন মৌসুমে পুকুরে চাষের জন্য দুই লাখের বেশি পোনা উৎপাদন করা হবে। -মোঃ হারেজুজ্জামান হারেজ, সান্তাহার থেকে
×