ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ মূল আলোচ্য বিষয়

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ মূল আলোচ্য বিষয়

চলতি সপ্তায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের বৈঠকে উত্তরের পারমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে বলে মুনের অফিস সোমবার জানিয়েছে। ওই উপদ্বীপে শেষ মুহূর্তে কূটনীতিতে বরফ গলায় কিমের সঙ্গে তৃতীয় বৈঠকের জন্য মঙ্গলবার মুনের উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। যদিও পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার অগ্রগতি থেমে রয়েছে। এএফপি। মুনের চিফ অব স্টাফ ইম জং-সেওক বলেন, ‘আমরা আলোচনায় উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের অগ্রগতি এবং যুক্তরাস্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে নেয়া পারস্পারিক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে চাপ দেব।’ চলতি বছর কিমের সঙ্গে দুইবার বৈঠক করা মুন জুনে কিম ও ট্রাম্পের মধ্যে ঐতিহাসিক সিঙ্গাপুর বৈঠকের মধ্যস্ততাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তখন কিম কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টি সমর্থন করেন। তবে তখন বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি এবং তখন থেকেই ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ং কখন ও কিভাবে এটি অর্জিত হবে তা নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়িতে মেতে আছে। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার চূড়ান্ত ও পূর্ণ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে চাপ দিচ্ছে। পক্ষান্তরে পিয়ংইয়ং এই দাবিকে একপাক্ষিক বলে দোষারোপ করেছে। ইম বলেন, দক্ষিণ কোরীয় নেতা একজন মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা পালন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনার চেষ্টা করবেন। তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন বৈঠক ও টেলিফোন আলাপের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট মুনের চেয়ারম্যান কিমের থেকে যুক্তরাষ্ট্র কি ভাবছে সে বিষয়ে ভাল ধারণা রয়েছে। মুনই হবেন পিয়ংইয়ং সফর করা তৃতীয় দক্ষিণ কোরীয় নেতা এবং তিনি কিমের সঙ্গে অন্তত দুটি বৈঠক করবেন। কিম বিমানবন্দরে মুনকে স্বাগত জানাতেও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে ইম জানিয়েছেন। মুনের তার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কনসার্টে যোগদান ও পিয়ংইয়ংয়ের দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শনের কথা রয়েছে। তার প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন স্যামসাং গ্রুপের উত্তরাধিকারী লি জায়ে ইয়ং এবং হুন্দাই মোটরের ভাইস চেয়ারম্যানও।
×