স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পরেও শৃঙ্খলা ফেরেনি সড়ক ব্যবস্থাপনায়। নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে পথচারী চলছেন যত্রতত্র, মোটরসাইকেল চলছে আপন খেয়ালে আর বাস লেন না মেনে। পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে সব কিছু তদারকি করা সম্ভব হয় না বলে দাবি ট্রাফিক বিভাগের। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু আইনের প্রয়োগ নয় সবার সচেতনতা এবং দায়িত্ববোধেই শৃঙ্খলা ফেরাতে পারে সড়কে।
সিগন্যালে সব গাড়ি দাঁড়িয়ে। তবে, মোটরসাইকেলকে নিয়ম মানাবে কে? মামলার ভয় বা জীবনের ঝুঁকি কোন কিছুই থামাতে পারছে না তাদের দৌরাত্ম্য। আবার, চলন্ত অবস্থায় যাত্রী উঠছেন বাসে, বাসও থামছে যত্রতত্র। আহ্বান নিয়ম মেনে পথ চলার, কিন্তু তাতেও সাড়া দেয়া লোকের সংখ্যা সামান্যই। যে যার মতো করে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন রাস্তা। আর এ রকম অসংখ্য খ-চিত্র সামগ্রিক সড়ক ব্যবস্থাপনাকে প্রতিনিয়ত সঙ্কটে ফেলছে।
কিন্তু নিয়ম মানতে অপরাগতা কেন? উত্তর পাওয়া গেল ভিন্ন ভিন্ন। পথচারীরা জানান, জীবনে ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই রাস্তা পার হচ্ছে, শুধু আমি নই, তবে, এটা ঠিক না। অন্য এক নারী জানান, দ্রুতই পার হওয়ার জন্য চলে আসছি। কিন্তু এখান দিয়ে পার হওয়া তো রিস্ক। লোকবল সঙ্কট সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে দেখছে ট্রাফিক বিভাগ। ট্রাফিক বিভাগের টি আই খাদেমুল ইসলাম বলেন, আমরা একেকজন একজনকে বলে বিরত রাখতে পারি, কিন্তু অসংখ্য মানুষ রাস্তা পার হয়। সেই সময়ে এই স্বল্পসংখ্যক ট্রাফিক দিয়ে ব্যবস্থাপনা দুরূহ হয়ে যায়। অন্যদিকে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পুরনো নিয়ম বাদ দিয়ে নিতে হবে আধুনিক ব্যবস্থা।