স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ওপর আমদানিকৃত ট্রাক-চ্যাসিজ পার্কিং করে যানবাহন চলাচল বন্ধ ও পথচারীদের দুর্ভোগে ফেলছেন অশোক লিলেন্ড মটরস কোম্পানির প্রতিনিধিরা। শুধু অশোক লিলেন্ড নয়, টাটা ও আইসার নামের কোম্পানির চ্যাসিজ পার্কিংয়েও এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে মহাসড়কের এক কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে এ অবস্থা থাকলেও ট্রাফিক পুলিশের কোন পদক্ষেপ নেই। রাজস্ব আয়ের অজুহাতে মানুষের দুর্ভোগ আমলে নিচ্ছেন না বন্দর ও কাস্টমসের কর্মকর্তারাও। তবে মোটরযান আমদানি কোম্পানিগুলোর দাবি, বন্দরে জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে মহাসড়কের ওপর চ্যাসিজ পার্কিং করতে হয়েছে তাদের। মঙ্গলবার সকালে বেনাপোল-যশোর মহাসড়কের বন্দরের সামনে ব্যস্ততম সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায়, টুলেনের সড়কের দুই ধারেই ৪টি লাইন করে এক কিলোমিটার রাস্তার ওপর পার্কিং করা রয়েছে অশোক লিলেন্ড, টাকা ও আইসার কোম্পানির ট্রাক চ্যাসিজ। এতে রাস্তার এক অংশ সম্পূর্ণভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেখানে অশোক লিলেন্ডের গাড়ি বেশি পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া মানুষ চলাচলের ফুটপাথ দখল করেও চ্যাসিজ পার্কিং থাকতে রাখা হয়েছে। এতে বিভিন্নভাবে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। স্থানীয়রা বলছেন, অশোক লিলেন্ডসহ কয়েকটা কোম্পানি সম্প্রতি ট্রাক চ্যাসিজ আমদানি বাড়িয়েছেন। তবে রহস্যজনক কারণে বন্দর থেকে দ্রুত এসব ছাড় করান না তারা। মাসের পর মাস বন্দরের বাইরে মহাসড়কের ওপর অনিয়ম করে রেখে দেয়া হয়। এত বড় অনিয়ম হলেও যেন দেখার কেউ নেই। এসব আমদানিকারকদের যদি দ্রুত পণ্য খালাস নেয়ার প্রয়োজন না থাকে তাহলে এত ব্যাপক হারে আমদানি করে পণ্যজট সৃষ্টি করে লাভ কি? এর পেছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে? বিষয়টি ভালভাবে ক্ষতিয়ে দেখা দরকার। এসব পণ্যের কারণে বন্দরে সবসময় যানজট লেগে থাকে দাবি ব্যবসায়ীদের।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: