ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষ চালক তৈরির প্রতিষ্ঠান চাই

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ৯ আগস্ট ২০১৮

দক্ষ চালক তৈরির প্রতিষ্ঠান চাই

সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশ্বে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ১৩ লাখ লোক, ২ থেকে ৫ কোটি লোক গুরুতর অথবা সাধারণ আহত হচ্ছে। এসব দুর্ঘটনায় অনেক পরিবার অভিভাবক হারাচ্ছে, কেউ বা প্রাণের চেয়ে প্রিয় সন্তান হারাচ্ছে, কেউ হারাচ্ছে বাবা, কেউ বা মা, কেউ বা ভাই অথবা বোন। সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে একটি ভীতিকর বিষয়। রোড এ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হিসাব মতে, প্রতিবছর দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ হাজার লোক নিহত হয়। গুরুতর আহত হয় ৩৫ হাজার। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ১৮ হাজার, ইউএনডিপির হিসাব অনুযায়ী ১৫ হাজার ও নিরাপদ সড়ক চাই-এর হিসাব অনুযায়ী বছরে পাঁচ হাজার এবং আহতের সংখ্যা ৭ হাজার ২০০। দালিলিক প্রমাণেই এত হেরফের। এতেই বোঝা যায়, আসলে সড়কে কত বিশৃঙ্খলা। মানুষ মরছে তো হিসাবে উঠছে না। মাত্রাতিরিক্ত চাপ সইতে পারার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে রাস্তা অথবা চাহিদার তুলনার রাস্তা কম হওয়ায় নতুন নতুন রাস্তা তৈরি অথবা প্রশস্ত না করায় উপচে পড়ছে যানবাহন। বাংলাদেশে প্রতি ৯৬৯৬ জন মানুষের জন্য একজন ট্রাফিক পুলিশ। ১৬ কোটির অধিক মানুষের এই দেশে অধিকাংশই যদি ট্রাফিক আইন অমান্য করে তাহলে দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলবে। দুর্ঘটনা হ্রাসে পদক্ষেপ যা নেয়া হবে তা অতি ধীরে বাস্তবায়িত হবে। এটিই যেন আমাদের নিয়ম। গাড়ি চালানোর আগে গাড়ি ভালভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন, মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রী উভয়েই হেলমেট পরুন। আপনি পেশাদার চালক অথবা অপেশাদার চালক যাই হোন না কেন, যেসব যানবাহনে সিটবেল্ট বাঁধার নিয়ম আছে তাতে সিটবেল্ট বেঁধে গাড়ি চালান। দুর্ঘটনা কমে যাবে। প্রতিদিনই যানবাহন বাড়ছে, চালক বাড়ছে তার চেয়ে কম সংখ্যক। চালক গড়ে তোলার প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। দক্ষ চালক তৈরি নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গড়া যায় কিনা ভেবে দেখা উচিত। তা না হলে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলবে। মৃত্যুর মিছিলে যোগ হবে অসংখ্য মানুষ। রক্তের লাল দাগ, হৃদয় ছেঁড়া কান্না, স্বজন হারানোর আর্তনাদে বাতাস ভারি হয়ে উঠবে। যা কাম্য হওয়া উচিত নয়। গণবিশ্ববিদ্যালয়, সাভার থেকে
×