ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

পার্বতীপুর ডিজেল লোকোমোটিভ কারখানায় জনবল সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ৬ আগস্ট ২০১৮

  পার্বতীপুর ডিজেল লোকোমোটিভ কারখানায় জনবল সঙ্কট

শ আ ম হায়দার, পার্বতীপুর ॥ ১৯৮১ সালে স্থাপিত পার্বতীপুর রেলওয়ে ডিজেল লোকোমোটিভ কারখানাটি বর্তমানে জনবল সঙ্কটে পড়েছে। তারপরও দেশী প্রকৌশলী, কারিগর এমনকি ছোট কর্মীরা এফ জি ও বিশেষ সিডিউল মেরামত কাজ সম্পন্ন করে উৎপাদনের ধারা অব্যাহত। ২৯৮ জনবল মঞ্জরির বিপরীতে বর্তমানে ১৩৩ জন কর্মরত আছে এবং আগামী ২০২২ সালে যা কমে দাঁড়াবে মাত্র ৮৬ জনে। বর্তমানে অত্র কারখানার বেইজ মোট লোকোমোটিভ সংখ্যা ৯৪টি। যা পূর্বের তুলনায় বেশি হওয়া সত্ত্বেও জনবল বৃদ্ধি পায়নি বরং দিনে দিনে জনবল কমেছে ও কাজের চাপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনবল অভাবে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে স্বল্প মজরিতে কাজ নেই মজরি নেই হিসেবে নেয়া টি এল আর শ্রমিকদের মাধ্যমে কারখানা সচল রাখা হয়েছে। জনবল সঙ্কটের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া না হলে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওযার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্রমতে, সিডিউল মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও মালামালের ৯৫% ভাগই সিসিএস (প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক কার্যালয়) পাহাড়তলী হতে সংগ্রহকরা হয়। যার বেশির ভাগই ফরেন (বিদেশী) আইটেম। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সময়মতো যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় না। এছাড়াও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের চাহিদাপত্র দিয়ে সিসিএসকে চিঠি দিলে সেখান থেকে যন্ত্রাংশ পেতে দীর্ঘ সময় লাগে। তাছাড়াও সঠিক বাজেট বরাদ্দ এবং মালামাল ক্রয় প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্তহীনতার কারণে সমস্যার জট লেগেই আছে। এতে লোকোমোটিভ মেরামত কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সমস্যার জটগুলো দূরীভূত করে সিসিএসকে পুনর্বিন্যাস করতে হবে। আধুনিক ও গতিশীল করতে হবে মালামাল ক্রয়ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে। তা না হলে কারখানার উৎপাদন ধারাকে ধরে রাখা সম্ভব হবে না। এমন কথা বলেছেন রেলের ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্ববর্গ ও পশ্চিম রেলের দায়িত্বশীল কতিপয় কর্মকর্তা। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে প্রথম শ্রেণীর কে পি আই প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও কারখানাটি অরক্ষিত। নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। কারখানা গেটে নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকিতে যে গুটি কয়েক নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছে তারা সামগ্রিক বিষয় সামাল দিতে পারে না।
×