অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রযুক্তিগত আধুনিকায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০১৬ সালের ৯ মার্চ থেকে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে লেনদেনে নতুন মাত্রা যুক্ত করে। শুরুতে ব্যাপক প্রচার করা হলেও সে তুলনায় এ্যাপসটি ব্যবহারে অভ্যন্ত হয়নি সব শ্রেণীর বিনিয়োগকারী। তবে বর্তমানে প্রযুক্তিপ্রেমী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এ্যাপভিত্তিক লেনদেনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বর্তমানে ডিএসই মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেনে করছে ৩৩ হাজার বিনিয়োগকারী।
ডিএসই জানায়, দেশের পুঁজিবাজার বিকাশের ক্ষেত্রে ৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে সংযোজন হয় ডিএসই মোবাইল এ্যাপ। এই এ্যাপ চালুর পর ক্রমবর্ধমান হারে মোবাইলে লেনদেন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে যা ২০১৮ সালের ২ আগস্ট পর্যন্ত দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ১৮০ জন।
ডিএসইর কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান ভার্সনটির মাধ্যমে কেবল এ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা লেনদেন করতে পারেন। একই সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে শেয়ার কেনাবেচা করা যাবে। বর্তমানে কেবল বাংলাদেশে বসেই এ এ্যাপটি ব্যবহার করা যায়। ডিএসই মোবাইলের আরও উন্নত ভার্সন আনার কাজ করছে ডিএসই। এতে লেনদেন সম্পর্কিত আরও বেশি তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্রয় বা বিক্রয় আদেশ দেয়ার সুবিধা পাবেন এ্যাপ ব্যবহারকারীরা। তবে একটু সময়ের ব্যাপার রয়েছে। উল্লেখ্য, ডিএসই মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে অনলাইনে নিজের বিও হিসাবে সিকিউরিটিজ কেনাবেচার আদেশ দিতে পারছেন। পোর্টফোলিওর রিয়েল টাইম আপডেট থেকে শুরু করে, বিও হিসাবের খুঁটিনাটি তথ্যের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বিশ্লেষণের জন্য গ্রাফ-চার্টসহ নানা সুবিধা রয়েছে এ্যাপটিতে। জানা গেছে, ডিএসই-মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে শেয়ার লেনদেনের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা দ্রুত আর্থিক তথ্য পাচ্ছেন। শেয়ার বিক্রি বা ক্রয় সম্পন্ন হলে নোটিফিকেশন পাচ্ছেন। দ্রুত রিস্ক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা পোর্টফোলিও সম্পাদন করতে পারছেন। তাছাড়া সহজেই বিনিয়োগকারী তার পোর্টফোলিও দেখতে পারছেন। এ এ্যাপসের নিবন্ধিত ব্যবহারকারীকে ব্রোকারেজ হাউসে ইউজার ফি দিতে হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: