ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পণ্য পাচার বৃদ্ধি পেয়েছে

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ১৭ জুলাই ২০১৮

চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পণ্য পাচার বৃদ্ধি পেয়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন অবৈধ পণ্য পাচার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক সপ্তাহে আটক হয়েছে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় আনা ফ্রিজ, এসি ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের একাধিক চালান। বর্তমানে বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় থাকা প্রায় শতাধিক চালানে অবৈধ, নিষিদ্ধ ও শুল্ক ফাঁকি দেয়া পণ্য রয়েছে বলে জানা গেছে। বন্দরের কতিপয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এসব খালাসের চেষ্টা চালাচ্ছে একটি চক্র। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বন্দরে শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য ও প্রসাধনী সামগ্রী খালাসের পূর্বে বিএসটিআই রিপোর্টের বাধ্যবাধকতা থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দরে এর কোন কার্যকারিতাই নেই। সাম্প্রতিক সময়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পাচারকালে বেশ কিছু চালান ধরা পরলেও চট্টগ্রাম বন্দর যেন চোরাকারবারীদের নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে বন্দরের ইউ ব্যাগেজ দিয়ে আসা ব্যাগেজ ঘোষণা দিয়ে ভুয়া পাসপোর্ট এর যাত্রীর নামে (যাত্রী অবগত নয় এমন) নির্বিঘেœ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বের হয়ে চোরাকারবারিদের হাতে চলে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর এসব কাজে সক্রিয় রয়েছে বেশ কয়েকটি সি এন্ড এফ চক্র। জানা যায়, সম্প্রতি জনৈক বাবুল নামের এক ব্যক্তির আমদানি করা একটি পণ্যের চালানে ঘোষণা ছিল ১২০০ কেজি কিন্তু পরীক্ষা করে প্রকৃত পণ্য পাওয়া গেছে ৬৫০০ কেজি। আবার কাস্টমসের লিখিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ৩৫০০ কেজি। এর মাধ্যমে ৩০০০ কেজির শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়। শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমস ও সিসিআই এর কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শুল্ক ফাঁকির নানাবিধ কাজে সহায়তা করে। বন্দরে স্ক্যানার, গেটসহ পণ্য খালাসের কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা নিয়োজিত তারাসহ সিএ-এফ এজেন্টের প্রতিনিধিরা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে। শুল্ক গোয়েন্দাদের তথ্য মতে, চট্টগ্রাম মহানগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের দুবাই ও মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক একটি চক্র কসমেটিক্স, জায়নামাজ, সুগন্ধি আতর, যৌন উত্তেজক স্প্রে জাতীয় পণ্য আমদানি করে থাকেন।
×