অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কৃষি ডিপ্লোমাধারী ব্লক সুপারভাইজারদের দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা পদমর্যাদায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া আগামী অর্থবছর বা ১ জুলাই থেকে এমপিও দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শিক্ষার গুণগতমান এবং অবকাঠামো নির্মাণের জন্য আলাদা বরাদ্দও দেয়া হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন। বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে এসব ব্লক সুপারভাইজাররা তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে সরকারী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্লক সুপারভাইজারদের মধ্যে বেতন কাঠমো নিয়ে যে অসন্তোষ ছিল-তা দূর হবে। তিনি বলেন, অষ্টম বেতন কাঠামো নির্ধারণ করার পর কিছু কিছু সমস্যা থেকে যায়। সেগুলো সমাধানে এই কমিটির বৈঠক প্রয়োজন হয়। ২০১৬ সালের পর এ ধরনের বৈঠকের প্রয়োজন হয়নি। সর্বশেষ যে বেতন স্কেল দেয়া হলো সেখানে কিছু অসঙ্গতি থেকে যায়। সেগুলো সমাধানের জন্যই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, এবারের বৈঠকে ৪টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে একটির বিষয়ে আগে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে কয়েক লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বার্থ জড়িত। সে বিষয়ে আমরা আগে না করে দিয়েছিলাম। যে এটা দেয়া সম্ভব নয়। কারণ এর সঙ্গে বিপুল অঙ্কের অর্থের সম্পর্ক রয়েছে। এমপিও প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ আমরা এমপিও দেব, যা আগামী অর্থবছর যা ১ জুলাই থেকে শুরু হবে।
বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে মোট ৪টি প্রস্তাব ছিল। এর মধ্যে আগে আমরা নাকচ করে দিয়েছি এমন একটি প্রস্তাব ছিল। সেটি প্রত্যাখ্যান করেছি। অন্য তিন প্রস্তাবের মধ্যে ছিল কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বা ব্লক সুপারভাইজার হিসেবে যারা কাজ করছেন তাদের মান উন্নয়নের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্লক সুপারভাইজররা কৃষি খাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা বর্তমানে ১১তম গ্রেডে বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন। তাদেরকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর, স্টেশন মাস্টার, স্টাফ অফিসার, জুনিয়র প্রশিক্ষক ও মোবিলাইজিং অফিসারদের গ্রেড উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টররা ছিল ১২ নম্বর গ্রেডে তারা ১১ নম্বরে এবং স্টেশন মাস্টাররা ছিল ১৩ নম্বর গ্রেডে তাদেরকে ১২ গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে।
মুহিত বলেন, তৃতীয় প্রস্তাব ছিল সিলেকশন গ্রেডে টাইমস্কেল প্রদানের সময় বাড়ানো। এ প্রস্তাব আমরা আগেই নাকচ করে দিয়েছি। এর সঙ্গে ৮-৯ লাখ লোক জড়িত। এটা দেয়া সম্ভব নয়। আমরা যখন নতুন পে-স্কেল করি তখন সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০১৫ পর্যন্ত যারা পেয়েছে তাদের সবারটা গ্রহণযোগ্য হবে।
ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
