ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাগরের ঈদের টেলিফিল্ম ‘ভালবাসা চোখের জল’

প্রকাশিত: ০৭:৪৬, ২০ মে ২০১৮

সাগরের ঈদের টেলিফিল্ম ‘ভালবাসা চোখের জল’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তরুণ মেধাবী নির্মাতা এসএম কামরুজ্জামান সাগরের পরিচালনায় সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে ঈদের টেলিফিল্ম ‘ভালবাসা চোখের জল’। তরুণ নাট্যকার সাংবাদিক রকিব হোসেনের রচনায় ‘ভালবাসা চোখের জল’ টেলিফিল্মের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কল্যাণ কোরাইয়া, সালহা খানম নাদিয়া, নিলয় আলমগীর, শিখা মৌ, আজম খান, জিয়া উদ্দিন জিয়া, প্রিমা, আমিনুল ইসলাম অপু, সাবিহা রুসা, শাহিন, তাহসান বর্ন, ফয়জুন নেসা লুনা, রবিউল ইসলাম রনি, চামেলি সিনহা, রবিউল, শাকিলসহ আরও অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গাঙচিলের ব্যানারে নির্মিত এ টেলিফিল্মটি নিয়ে নির্মাতা এস এস কামরুজ্জামান সাগর বলেন, প্রেম বা ভালবাসার গল্পের কোনো পরিবর্তন হয় না। এটা সনাতন। তেমনই এক ভালবাসার কাহিনী নিয়ে এ টেলিফিল্মটি নির্মিত হয়েছে। তবে গল্পের টার্নগুলো দর্শকরা দারুণ উপভোগ করবেন। যারা এতে অভিনয় করেছেন, সবাই নিজেদের মেলে দিয়ে কাজ করেছেন। আমি আশাবাদী কাজটি দর্শকপ্রিয়তা পাবে। টেলিফিল্মে অভিনয় প্রসঙ্গে কল্যাণ কোরাইয়া বলেন, গল্পের ভাবনাটা চিরকালের। কিন্তু গল্পের ভেতরের নানারকম বাঁক আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি কাজটি করে খুব সন্তুষ্ট। নিলয় বলেন, সাগর ভাই চেষ্টা করেছেন গল্প অনুযায়ী কাজটি ভালভাবে শেষ করতে। সালহা খানম নাদিয়া বলেন, বলা যায় এই টেলিফিল্মের গল্পটা আমাকে কেন্দ্র করেই। জীবন চলার পথে এক অন্যরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হই আমি। আগের চেয়ে আমি আমার কাজে অনেক বেশি সিরিয়াস। তাই যথারীতি মন দিয়ে কাজটি করার চেষ্টা করেছি। নির্মাতা সাগর আরো জানান, আসছে ঈদে একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে টেলিফিল্মটি প্রচার হবে। ‘ভালোবাসা চোখের জল’ টেলিফিল্মের কাহিনীতে দেখা যাবে অনন্য ও রেহান এবং রাত্রি ভাল বন্ধু। আর এই বন্ধুত্বের বাইরেও ওদের মধ্যে অবচেতন মনে ভালবাসাবাসি চলে গোপনে। রাত্রি যেমন রেহানের জন্য ভেতরে ভেতরে এক ধরনের টান অনুভব করে, তেমনি রেহানও রাত্রিকে নিয়ে রচনা করে অনেক স্বপ্নের গান। এদিকে অনন্যও রাত্রিকে নিজের রাজ্যের রানীর আসনে বসিয়ে রেখেছে। অবশ্য অনন্যর প্রতি রাত্রির আলাদা কোন টান নেই। অনন্যকে রাত্রি শুধুই বন্ধু ভাবে কিন্তু মানুষের ভাবনার বাইরেও অনেক কিছু ঘটে যায়। অসময়ে উজানের ঢেউ এসে পাল্টে দেয় রাত্রির জীবন। রাত্রি বাধ্য হয় অনন্যকে বিয়ে করতে। তবে এক সময় অনন্যকে মেনে নিয়ে সংসার শুরু করে। ভালোই চলছিল ওদের দাম্পত্য জীবন। এদিকে কোন একদিন রেহানের সঙ্গে রাত্রির দেখা হলে দুজনই মুহুর্তের জন্য এলোমেলো হয়ে পড়ে। অনেক কাছাকাছি থেকেও ওরা অনুভব করে ওদের অবস্থান আজ মাইল দুরে। কিন্তু রেহান কী জানে রাত্রি তার কাছ থেকে আরও অনেক অনেক দুরে চলে যাবে-যেখান থেকে আর কখনো ফেরা যায় না ? হ্যা, বাস্তবে তাই ঘটে। দাম্পত্য জীবনের অশুভ টানাপোড়নের ঘেরাটোপে পড়ে ঘটনাক্রমে অনন্যর হাতে খুন হয় রাত্রি। স্ত্রীকে খুন করে অনন্য পালিয়ে যায়। অবশ্য প্রশাসনের নজরদারি আর আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রেহাই পেলেও রাত্রির কাছ থেকে মুহুর্তের জন্যও পালাতে পারে না অনন্য। রাত্রির স্মৃতির আগুনে ক্ষনে ক্ষনে দগ্ধ করে অনন্যকে। আর তা থেকে চিরমুক্তি পেতে এক সময় অনন্য নিয়তির কাছে আতœসমর্পন করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
×