ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে না

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ২০ মে ২০১৮

বগুড়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে না

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। কথা ছিল রমজান মাসে পণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিসিবি সরকারী নির্ধারিত মূল্যে কয়েকটি পণ্য বিক্রি করবে। যার মধ্যে আছে ছোলাবুট, চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন। এই বিক্রি শুরু হওয়ার কথা ছিল ৬ মে। শনিবার পর্যন্ত বগুড়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রি হতে দেখা যায়নি। এই বিষয়ে টিসিবির কয়েকজন পরিবেশক (ডিলার) জানান, রাজশাহী থেকে বরাদ্দের পণ্য ট্রাকে করে বগুড়ায় এসে বিক্রি লাভজনক হয় না। তাই তারা এবার পণ্য উত্তোলন করছেন না। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বিষয়টি তারা অবগত নন। টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু না হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজশাহী বিভাগীয় অফিসে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়, বগুড়ার ডিলারদের কয়েক দফায় তাগাদা দেয়া হয়েছে। কেউ পণ্য উত্তোলন করছেন না। ১১ জুনের মধ্যে বরাদ্দের পণ্য উত্তোলন করা না হলে ডিলারশিপ বাতিল ও জামানত বাজেয়াফত করা হবে। সূত্র জানায়, বগুড়ায় টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য পরিবেশক রয়েছেন ৬৬ জন। বগুড়া নগরীতে রয়েছেন ৬ জন। টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য ডিলারশিপ নিতে প্রতিজন ডিলারকে ১৫ হাজার টাকা করে জামানত দিতে হয়। বগুড়ার কয়েকজন ডিলার বললেন, বগুড়ায় টিসিরি গোডাউন না থাকায় রাজশাহী থেকে পণ্য উত্তোলন করতে হয়। ট্রাকে করে পণ্য আনতে বড় অঙ্কের ট্রাক ভাড়া গুণতে হয়। পণ্য লোড আনলোড করার খরচ আছে। রাজশাহী থেকে সময়মতো পণ্য উত্তোলনের সময় উৎকোচ বখশিস দিতে হয়। বগুড়ার পণ্য আনার পর ট্রাকে করে মোড়ে মোড়ে বিক্রির জন্য লোক নিয়োগ দিতে হয়। দেখা যায় সব খরচের পর যে কমিশন থাকে তা এতটাই নগণ্য যে টিসিবির পণ্য বিক্রির আর আগ্রহ থাকে না। আবার টিসিবির পণ্য মূল্যের চেয়ে বাজার মূল্য কমে গেলে পণ্য অবিক্রিত থাকে। পুঁজি হারাতে হয়। একজন ডিলার বললেন, জামানতের অর্থ বাজেয়াফত হয় হোক। লোকসান করে পণ্য বিক্রি করা যাবে না।
×