ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

নেপাল ট্র্যাজেডি নিয়ে রাজিবুল হোসেনের নতুন চলচ্চিত্র

প্রকাশিত: ০৪:২০, ২৮ এপ্রিল ২০১৮

নেপাল ট্র্যাজেডি নিয়ে রাজিবুল হোসেনের নতুন চলচ্চিত্র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজিবুল হোসেন ‘হৃদয়ে রংধনু’ চলচ্চিত্রটি দীর্ঘ চার বছর ধরে নির্মাণ করেছেন। গত দুই বছর যাবত চলচ্চিত্রটি সেন্সরে আটকে আছে। কেন আটকে আছে এ বিষয়ে সেন্সর কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর না পাওয়ায় তিনি বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু থেমে নেই এই চিত্র নির্মাতা। এবার তিনি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন সম্প্রতি নেপালে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে নতুন চলচ্চিত্র ‘রানওয়ে ২০/০২’ বা ‘রানওয়ে টু জিরো/জিরো টু’। ‘হৃদয়ের রংধনু’ সেন্সরে দীর্ঘদিন আটকে থাকায় সম্প্রতি বাধ্য হয়ে চলচ্চিত্রটির সেন্সর ছাড়পত্র পেতে আদালতের দ্বারস্থ হন এর প্রযোজক ও নির্মাতা রাজিবুল হোসেন। সেই প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত চলচ্চিত্রটিকে কেন সেন্সর ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে না সেই বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এর জবাব চেয়েছেন আদালত। চলচ্চিত্রটির ভবিষ্যত সম্পর্কে আলোচনা করতে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক, নির্মাতা রিয়াজুল রিজু, মুভিয়ানার সভাপতি বেলায়েত মামুন, নির্মাতা নোমান রবিনসহ চলচ্চিত্রর কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনেতা শামস। সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা রাজিবুল হোসেন তার নতুন চলচ্চিত্র ‘রানওয়ে ২০/০২’ বা ‘রানওয়ে টু জিরো/জিরো টু’র ঘোষণা দেন। তিনি জানান, হাবিব জাকারিয়ার চিত্রনাট্যে তিনি এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করবেন। সব কিছু পরিকল্পনামাফিক চললে এটিই হবে বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে ঢালিউডের প্রথম চলচ্চিত্র। অনুষ্ঠানে রাজিবুল হোসেন বলেন, গত রবিবার আমরা উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে ‘হৃদয়ের রংধনু’ চলচ্চিত্রটি জমা দিয়েছি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সুরাহা করতে হবে। এদিকে নতুন চলচ্চিত্র নিয়ে তিনি বলেন, সেন্সর বোর্ড চলচ্চিত্র আটকে রাখতে পারে, কিন্তু চলচ্চিত্রের পরিচালককে নয়। তাই আমি আমার নতুন চলচ্চিত্রের ঘোষণা দিচ্ছি। ‘হৃদয়ের রংধনু’ চলচ্চিত্র বিষয়ে রাজিবুল হোসেন জানান, ‘হৃদয়ের রংধনু একটি রিয়েলিটি ফিকশন। ৫৪টি জেলায় এটির শূটিং হয়েছে। এটি ২ ঘণ্টা ৭ মিনিট দৈর্ঘ্যরে। এতে ৪টি প্রধান চরিত্র রয়েছে। সোমবার চলচ্চিত্রটি সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়ে রিসিট নেয়া হয়েছে। দীর্ঘ ২ বছর কোন এক অজ্ঞাত কারণে সেন্সর বোর্ড এটিকে আটকে রেখেছে। পরে হাইকোর্ট একটা সময় বেঁধে দিয়েছে সেন্সর বোর্ডকে। যদিও পর্যটন কর্পোরেশন অনাপত্তি জানিয়েছে, তারপরেও কেন সেন্সর ছাড়পত্র পাচ্ছে না চলচ্চিত্রটি তা আমার বোধগম্য নয়।
×