ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উইজডেন বর্ষসেরায় নারীদের জয়জয়কার

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১২ এপ্রিল ২০১৮

উইজডেন বর্ষসেরায় নারীদের জয়জয়কার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘ক্রিকেটের বাইবেল’ খ্যাত উইজডেনের পাঁচ বর্ষসেরা ক্রিকেটারের তিনজনই এবার নারী। আগেই প্রচ্ছদে জায়গা করে নেয়া আনায়া শ্রাবসোলের সঙ্গে বর্ষসেরা মনোনীত হয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হিদার নাইট ও অলরাউন্ডার নাটালি শিভার। সেরা পাঁচের অন্য দুই পুরুষ ক্রিকেটার ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার শাই হোপ ও ইংলিশ পেসার জেমি পোর্টার। তিন ইংলিশ নারী ক্রিকেটারই গত বছর নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল জয়ের অবদান হিসেবে এই স্বীকৃতি পেয়েছেন। ইংরেজ ক্রিকেটার জন উইজডেন (১৮২৬-১৮৮৪) কর্তৃক ফ্রেড লিলিহুয়াইটের ‘দ্য গাইড টু ক্রিকেটার্সের’ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ১৮৬৪ সালে উইজডেন প্রতিষ্ঠা করেন। শতবর্ষ ধরে সেটি অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে এটি এখন সবচেয়ে পুরনো, দীর্ঘতম ও মর্যাদার এক প্রকাশনা। উইজডেনের বর্ষসেরায় নারীদের এই জয় জয়কার কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, সেটি বোঝা যায় একটি তথ্যেই। ‘ক্রিকেটের বাইবেল’ খ্যাত উইজডেনের সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতিতে আগের ১২৮ বছর মিলিয়ে বর্ষসেরায় জায়গা পেয়েছিলেন কেবল দুইজন নারী ক্রিকেটার। এবার এক বছরেই তিনজন। গত জানুয়ারিতেই জানা গিয়েছিল প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে উইজডেনের প্রচ্ছদে উঠে আসছেন শ্রাবসোল। গত বছর বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেট নিয়ে এই পেসার নাটকীয়ভাবে শিরোপা জিতিয়েছিলেন ইংল্যান্ডকে। বিশ্বকাপ জয়ী সেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নাইট। শিরোপা জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন শিভার। উইজডেনের বর্ষসেরা সেটিরই পুরস্কার। নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে এর আগে বর্ষসেরায় জায়গা পেয়েছিলেন ২০০৯ সালে ক্লেয়ার টেইলর ও ২০১৪ সালে শার্লট এডওয়ার্ডস। ২০১৮ সংস্করণে সেরা পাঁচের অন্য দুই ক্রিকেটার ওয়েস্ট ইন্ডিজের শাই হোপ ও ইংলিশ পেসার জেমি পোর্টার। গত বছর ইংল্যান্ড সফরে হেডিংলিতে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে স্মরণীয় জয় এনে দিয়েছিলেন হোপ। আর ২৫ বছরের মধ্যে এসেক্সের প্রথম কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন পোর্টার। ইংলিশ গ্রীষ্মে আলো ছড়ানো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ঘরোয়া ক্রিকেটের দুর্দান্ত পারফর্মারদেরই সাধারণত বিবেচনায় নেয়া হয় উইজডেনের বর্ষসেরায়। ১৮৬৪ সাল থেকে প্রতিবছরই নিয়ম করে প্রকাশিত হওয়া উইজডেনের এবার ১৫৫তম সংস্করণ। তবে সেরার স্বীকৃতি চালু হয় ১৮৮৯ সাল থেকে। গতবারের মতো এবারও উইজডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার’ মনোনীত হয়েছেন বিরাট কোহলি। টানা দুইবার ‘লিডিং ক্রিকেটার’ হওয়ার কীর্তি আগে ছিল কেবল একজনেরই। বীরেন্দ্র শেবাগ, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে। ২০১৭ সালে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২ হাজার ৮১৮ রান করেছেন কোহলি। দুইয়ে থাকা জো রুটের চেয়ে ৭২৬ রান বেশি। পাঁচ টেস্ট সেঞ্চুরির তিনটিই ছিল ডাবল। মেয়েদের ক্রিকেটে লিডিং ক্রিকেটারের সম্মান পেয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক মিথালি রাজ। গত বছর দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার প্রমাণ হিসেবেই হয়তো এবার থেকে উইজডেন স্বীকৃতি দিচ্ছে টি২০ ক্রিকেটকেও। প্রথমবার চালু হওয়া ‘ফোরমোস্ট টি২০ প্লেয়ার’ মনোনীত হয়েছেন আফগান লেগস্পিনিং বিস্ময় রশীদ খান।
×