ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

এনবিআরকে ঢাকা চেম্বারের ২১ সুপারিশ

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ৪ এপ্রিল ২০১৮

এনবিআরকে ঢাকা চেম্বারের ২১ সুপারিশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ট্যাক্সকার্ড প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন সেবার প্রস্তাব এবং এই সেবা পেতে ট্যাক্সকার্ডকে ছয়টি শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে বলে প্রস্তাব করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ট্যাক্সকার্ড প্রাপ্তদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে নানা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে উদ্যোগ নেবেন বলেও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান এ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বাজেট আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন। আসছে অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য মোট ২১টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই সভাপতি। এর মধ্যে আয়কর সংক্রান্ত ৯টি, ভ্যাট বা মূসক সংক্রান্ত ১টি, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত ২টি, আইনের বৈপরিত্য হ্রাসকরণ সংক্রান্ত ২টি, আইনের প্রয়োগ স্বচ্ছতা সংক্রান্ত ৭টি প্রস্তাব দেন। ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ট্যাক্সকার্ড প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হাসপাতাল, চিকিৎসকের চেম্বার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট, ট্রান্সপোর্ট, এয়ার লাইন টিকেট রিজার্ভ, সরকারী অনুষ্ঠানসহ অন্য সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ সেবা দেয়ার প্রস্তাব করছি। তিনি বলেন, এ ছাড়া করদাতাদের কর প্রদানের হারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ট্যাক্সকার্ডকে ছয়টি শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন গ্রীনকার্ড, গ্রীনপ্লাসকার্ড, সিলভারকার্ড, গোল্ডকার্ড, গোল্ডপ্লাসকার্ড ও প্লাটিনামকার্ড। মিনিমাম ট্যাক্স প্রদানকারীদের যারা ৫০ হাজার টাকা ট্যাক্স দেয় তাদের গ্রিনকার্ড এবং সর্বোচ্চ ট্যাক্সকারীদের প্লাটিনামকার্ড দেয়া যেতে পারে বলেও প্রস্তাবনায় বলা হয়। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, শিক্ষা ব্যয় নির্বাহের জন্য বাৎসরিক শিক্ষা ব্যয় বাবদ মোট আয় থেকে এক লাখ ২০ হাজার কর অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব করছি। এ ছাড়া বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী বিদেশে অবস্থানরত সকল দক্ষ পেশাজীবীদের দেশে ফিরে আসার আগ্রহ সৃষ্টি করতে বাংলাদেশে তার আয়ের প্রথম ৫ বছরের আয় করমুক্ত করার প্রস্তাব করছি। এ ছাড়া সকল স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবসহ সকল মোবাইল ফোন ক্রয় বাবদ সর্বাধিক ২৫ হাজার টাকা করমুক্ত বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করছি। তিনি বলেন, বর্তমানে ৮ লাখ ৫০ হাজার বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বরধারী (বিআইএন) ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এনবিআরের ডাটাবেজে নিবন্ধিত থাকলেও মাত্রা ৩০ হাজার রিটার্ন প্রদান করে। ভ্যাট আদায়ে এনবিআর পদ্ধতি সহজীকরণের প্রস্তাব করছি, যাতে ভোক্তা ও ব্যবসায়ী ভ্যাট প্রদানে উৎসাহী হয়। ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং বর্তমান প্যাকেজ ভ্যাট বলবৎ রাখার প্রস্তাব করে ডিসিসিআই। এ ছাড়া টার্নওভার ট্যাক্স সীমা বর্তমান ৮০ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করে ডিসিসিআই। ডিসিসিআই সভাপতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা ও মোট আয় ৫ লাখ টাকা হলে ৫ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগত আয় ৭ লাখ টাকা হলে ১০ শতাংশ, ৯ লাখ টাকা হলে ১৫ শতাংশ ও ১১ লাখ টাকা হলে ২০ শতাংশ হারে ধার্যের প্রস্তাব করেন।
×