ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১০ জঙ্গীর ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৩ এপ্রিল ২০১৮

১০ জঙ্গীর ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ১০ জঙ্গীর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- নিশ্চিতকরণ) এবং কারাবন্দী আসামিদের আপীলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। আদালতে আসামিদের পক্ষে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন করেন আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম। এ মামলায় এ্যাটর্নি জেনারেল ছাড়াও ৫ জন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রয়েছেন। পরবর্তী শুনানির জন্য ৯ এপ্রিল সোমবার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট দুই মামলার একটিতে ১০ আসামিকে মৃত্যুদ-াদেশ দেন আদালত। এছাড়া একজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদ- ও তিনজনের ১৪ বছর করে কারাদ-ও দেন ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম। অন্য মামলায় নয়জনকে ২০ বছর করে কারাদ- দেয়া হয়। ২০০০ সালে কোটালীপাড়া সফরের অংশ হিসেবে সেখানকার শেখ লুৎফর রহমান সরকারী আদর্শ কলেজ মাঠে ভাষণ দেয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সমাবেশের দু’দিন আগে ২০ জুলাই কলেজ প্রাঙ্গণে জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে ওই কলেজের উত্তর পাশে সন্তোষ সাধুর দোকান ঘরের সামনে থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে। পরদিন ২১ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর থেকে ৮০ কেজি ওজনের আরও একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা করা হয়। ২০১০ সালে মামলা দু’টি ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। নিম্ন আদালতের রায় ঘোষণার মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালত থেকে পাঠানো ডেথ রেফারেন্স, রায় ও মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর নিয়ম অনুসারে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্নের পর এ ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্য তালিকায় আসে। এ মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন- ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমন খান, ইউসুফ ওরফে মোসাহাব মোড়ল ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও মাওলানা আব্দুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে ওমর। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে গাজী খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। আসামি আনিসুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও সারোয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদ-ের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদ-ের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। জঙ্গী নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। ২০ বছর করে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ইউসুফ ওরফে মোসাহাব মোড়ল ওরফে আবু মুসা হারুন (পলাতক), আনিসুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে গাজী খান, ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমন খান, শাহনেওয়াজ ওরফে আজিজুল হক ও শেখ এনামুল হক (পলাতক)।
×