ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

গলদা চিংড়ির দাম পড়ে যাওয়ায় বিপাকে চাষীরা

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

গলদা চিংড়ির দাম পড়ে যাওয়ায় বিপাকে চাষীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাগেরহাটের সাদা সোনাখ্যাত গলদা চিংড়ির দাম কেজিতে ৩০০ টাকার বেশি কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। জেলার প্রায় ৪৩ হাজার চাষী ২০ হাজার হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ করেন। হঠাৎ দাম পড়ে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে স্থানীয় চাষীদের। সরেজমিনে জানা গেছে, সাধারণত ভাদ্র ও আশ্বিন মাসে চিংড়ি চাষীরা নতুন ঘের প্রস্তুত করেন। এ সময় তারা সব চিংড়ি বাজারে বিক্রি করে দেন। কিন্তু মন্দার কারণে অনেক চাষী চিংড়ি ধরা বন্ধ রেখেছেন। কেউ আবার লোকসানে চিংড়ি বিক্রি করেছেন। গলদা চাষের জন্য অধিকাংশ চাষী এখনও ঘের প্রস্তুত করেনি। তবে চাষীরা এবার গলদার পরিবর্তে বাগদা চিংড়ি চাষে ঝুঁকছে। মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়ি চাষী আব্দুল হালিম মহুরী জানান, গলদা চাষে ঝুঁকি বেশি। এবার দাম পড়ে গেছে তাই গলদার পরিবর্তে বাগদার চাষ শুরু করেছি। ঘেরে রেণু পোনা ছাড়া শুরু হয়েছে। আর গলদার রেণু ছাড়ার সময় এখনও ২-৩ মাস বাকি আছে। বাগেরহাট চিংড়ি চাষী সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন বলেন, উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ চিংড়ি চাষের সঙ্গে জড়িত। বাজারে গলদা চিংড়ির দাম কেজিতে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা কমে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়ছে চাষী। এর আগে অতিবৃষ্টিতে প্রায় ১১ হাজার ঘের ভেসে গেছে। একই সঙ্গে বাগদা চিংড়িতে ভাইরাস সংক্রমণেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য অনেক চাষী ব্যাংক, এনজিও ও মহাজনের সুদের টাকা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বারাকপুর মৎস্য আড়ৎ দার সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন জানান, এজেন্টরা আমাদের যেভাবে বুঝান সেভাবেই চিংড়ির বাজারটা চলছে। দাম বাড়া-কমায় সরকারের মৎস্য বিভাগের তদারকি না থাকায় তারা এ সুযোগ নিয়ে যাচ্ছে। চিংড়িশিল্প বাঁচিয়ে রাখতে সরকারকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
×