ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কর্ণফুলী টানেলকে কেন্দ্র করে দুই শহরের স্বপ্ন

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮

 কর্ণফুলী টানেলকে কেন্দ্র  করে দুই শহরের স্বপ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টানেল আর সেতুর ওপর ভর করে চীনের হোয়াংপু নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে ২টি শহর-নতুন আর পুরনো সাংহাই। তাতে কেবল নতুন জনপদ তৈরি কিংবা অর্থনীতির চাকাই সচল হয়নি, দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে পর্যটন শিল্পেরও। ওয়ান সিটি টু টাউন ধারণার এমন প্রতিফলন ঘটতে পারে এ দেশেও। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের উদ্যোগ জাগিয়ে তুলেছে সে স্বপ্ন। সাংহাই নগরী রক্ষায় হোয়াংপু নদীর পশ্চিমপাড়ে দেয়া বাঁধ। যার নির্মাণে ছিল দারুণ মুন্সিয়ানার ছাপ। এর সঙ্গে নদীর জলতরঙ্গ আর আশপাশের নান্দিনকতা আকৃষ্ট করে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের। হোয়াংপু নদীর ওপর আছে সেতু। আর তলদেশে টানেল। এই দুটি মাধ্যমকে ভিত্তি করে নদীর পূর্বপাড়ে গড়ে ওঠে অনন্য স্থাপত্যশৈলীর আরেক শহর। যার নাম নতুন সাংহাই। দিনের এই দুই সাংহাই শহরের চেয়ে রাতের সাংহাই অনেক বেশি চোখ ধাঁধানো। সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে নদীতীরের ভবনগুলো মূর্ত হয়ে ওঠে আলোর খেলায়। পৃথিবীর অন্যতম সুউচ্চ ভবন সাংহাই টাওয়ারসহ একেকটি ভবন যেন আলোর প্রতিচ্ছবি। এমন রোশনাই সব দেশের নদীতীরে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব বলে মত দর্শনার্থীদের। সাংহাইয়ের এই ধারণা চট্টগ্রামে বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। এ জন্য নির্মিত হবে কর্ণফুলী টানেল। তবে নগরবিদরা বলছেন, কেবল টানেল বানিয়েই নদীর উভয় তীরে শহর গড়ে তোলা যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন আনুষঙ্গিক অবকাঠামো। নানা জটিলতা কাটিয়ে টানেল তৈরির কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম হয়ে উঠবে এ অঞ্চলের পর্যটন আর অর্থনীতির নতুন এক ঠিকানা, এমন মত বিশ্লেষকদের।
×