ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুনতাহা ইসলাম

সতেজ ও স্বাস্থ্যবান চুল...

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ২২ জানুয়ারি ২০১৮

সতেজ ও স্বাস্থ্যবান চুল...

শরীরের অন্যতম অনুষঙ্গ চুল। বছরের সব সময় চলে চুল নিয়ে নানা কাটাছেঁড়া। স্টাইলে নিজেকে ফিটফাট রাখতে, চুলের স্টাইলের বিকল্প নেই। চুলের স্টাইল প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। চুলকে কখনও নানা ধরনের হেয়ার কাট করে নিজেকে সুন্দর করে তুলতে চাইছে সবাই। যেটা অবশ্যই প্রয়োজন কারণ আপনি প্রতি এক মাস অন্তর আপনার চুলের স্টাইল করে কেটে দেখবেন আপনার চুলের অনেক সমস্যাই কম হচ্ছে। এর কারণ আপনার চুল বার বার কাটার ফলে চুলে স্পিটেন থাকছে না। তাই সমস্যাও কমে যাচ্ছে। অনেকে ভয়ে চুল কাটেন না মনে করেন চুল কাটলেই চুল ছোট হয়ে যাবে। কিন্তু না চুল সব সময় ছোট করেই কাটতে হবে তেমনটা নয়। আপনার লেন্থ বড় রেখেও আপনি আপনার স্টাইল করতে পারেন। কেউ কোঁকড়া চুল সোজা করতে চান, কেউ আবার সোজা চুলকেই কার্লি লুক দিতে চান। সেইসঙ্গে হেয়ার কালার ও স্টাইলের একটা অনুষঙ্গ, আজকাল যেন এছাড়া আপনার সৌন্দর্য যে পরিপূর্ণতা আসে না। কত ধরনের কালার যে আছে তার তো ইয়ত্তা নেই। সেই সঙ্গে আছে হাজারও কোম্পানি। যখনই কোন কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট নেবেন তার তিন দিনের ভেতর কেমিক্যাল ওয়াশ ট্রিটমেন্ট নিয়ে নেবেন। এটা একমাত্র এ্যারোমা থেরাপি ট্রিটমেন্টেই আছে। তাহলে স্টাইল যাই করুন আপনার চুলে সমস্যা হবে না। আর যদি দেখা যায় কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট না করেও চুল পড়ে যাচ্ছে তবে বুঝতে হবে আপনার যত্নের অভাব হয়েছে। সঠিক উপায়ে যত্ন নিলে আপনি নিজেও আপনার চুলপড়া কমানোর উপায় পেয়ে যাবেন। বাড়িতে যত্ন নিতে হলে আপনাকে সঠিক শ্যাম্পু সঠিক কন্ডিশনার নির্বাচন করতে হবে। আর তেলকে করতে হবে আপনার সঙ্গী। কারণ তেল আপনার চুলে যে পুষ্টি দিতে পারবে কোন কন্ডিশনার সেটা করতে পারবে না। সবচেয়ে সহজলভ্য হলো নারিকেল তেল যা আপনার হাতের কাছেই থাকে। হাল্কা গরম করে আস্তে আস্তে অয়েল ম্যাসাজ করুন সম্ভব হলে স্টিম নিন। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে চাইলে কন্ডিশনার লাগিয়ে পাঁচ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটুকু যত্ন ধৈর্য ধরে করুন আপনার অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে সম্ভব হলে মাসে একবার কোন ভাল পার্লারে গিয়ে প্রফেশনাল হেয়ার ট্রিটমেন্ট নিন। তাহলেই চুল নিয়ে আপনার কোন সমস্যা থাকবে না। চুলের আগা ফাটা নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বিশেষ করে শীতকালে এই সমস্যা আরও বেশি বেড়ে যায়। চুলের আগা ফাটার কারণে চুল বাড়তে পারে না। দেখতেও বিশ্রী লাগে। তাই সুন্দর চুল পেতে চাইলে আপনাকে করতে হবে কিছু কাজ। চুলের আগা ফাটা রোধ করতে কিছু করণীয় জেনে নেয়া যাক- -গোসলের আগে পুরো চুল ভিজিয়ে নিয়ে ভাল করে মধু মাখিয়ে নিন। চুলের গোঁড়া থেকে শুরু করে আগা পর্যন্ত ভাল করে মধু মাখাবেন। একটু স্টিকি হলেও অসুবিধা নেই। ৫-১০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলবেন। এতেই বেশ ভাল ফল পাবেন। -নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল কিংবা বাদাম তেল চুলের জন্য অনেক ভাল একটি উপাদান। এই তিনটি তেল একসঙ্গে মিশিয়ে কিংবা আলাদা একটি তেল চুলে ম্যাসাজ করে নিন। সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহারে ভাল ফল পাবেন। -গোসল করে এসে ভেজা চুল আঁচড়ালে চুলের আগা ফাটার প্রবণতা বাড়ে। ভেজা অবস্থায় চুলে জট লেগে থাকে এবং চুল নরম হয়ে থাকে। ফলে চিরুনি দিয়ে জট ছাড়ানোর চেষ্টা করতে গেলেই চুল ছিঁড়ে যায় এবং আগা ফেটে যায়। -একটা ডিমের কুসুম (হলুদ অংশ), দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল আর এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে লাগান। ১-২ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। -চুল অতিরিক্ত ড্রাই হলে মাথায় মেহেদি দেবেন না। মেহেদি চুল আরও বেশি ড্রাই করে ফেলে। -২ টেবিল চামচ টক দই, এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল, এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ইউজ করতে পারেন। আগা ফাটা রোধ করাসহ চুল সিল্কিও করবে।
×