ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

জয়সূচক গোলদাতা বিশাল দাস লালকার্ড পেয়ে বহিষ্কৃত, ব্রাদার্স ১-০ মুক্তিযোদ্ধা

মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে শেষ আটে ব্রাদার্স ইউনিয়ন

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২১ জানুয়ারি ২০১৮

মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে শেষ আটে ব্রাদার্স ইউনিয়ন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই দলের মধ্যে কিঞ্চিৎ মিল আছে। দুই দলই লীগ শিরোপা জিতেছে দুবার করে, কিন্তু পেশাদার লীগ জেতেনি কেউই। সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে দু’দলই পরস্পরকে একবার করে হারিয়েছে। গত স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের আসরে দুই দল একই গ্রুপে ছিল, এবারও আছে। বলা হচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র এবং ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেডের কথা। চলমান স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে ‘বি’ গ্রুপের শেষ খেলায় শনিবারের একমাত্র খেলায় গোপীবাগের দল এবং ‘দ্য অরেঞ্জ ব্রিগেড’ খ্যাত ব্রাদার্স ১-০ গোলে হারিয়েছে ‘অল রেড’ খ্যাত মুক্তিযোদ্ধাকে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই খেলার প্রথমার্ধেই জয়সূচক গোলটি করে বিজয়ী দল। গোলদাতা বিশাল দাস। তবে দুটি হলুদ কার্ড পেয়ে তিনি মাঠ থেকে বহিষ্কার হলে জয়ের আনন্দ ম্লান হয়ে যায় কমলা শিবিরের। এই জয়ে এই গ্রুপের অপর দল ফরাশগঞ্জের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখালো ব্রাদার্স। সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে পুরনো হিসেব-নিকেশও চুকিয়ে দিল। কেননা সর্বশেষ ২০১৬ স্বাধীনতা কাপ আসরের গ্রুপপর্বে ব্রাদার্স ০-১ গোলে হেরেছিল এই মুক্তিযোদ্ধাার কাছেই। কাজেই প্রতিশোধটা তারা নিয়ে নিল বেশ কড়ায়-গ-ায়। পুরো ম্যাচে মুক্তির ৬টি কর্নারের বিপরীতে ব্রাদার্স পায় ৪টি কর্নার। আক্রমণ সংখ্যায় দুদলই ছিল প্রায় সমানে সমান (ব্রাদার্স ১২৬, মুক্তিযোদ্ধা ১২৫)। তবে বিপজ্জনক আক্রমণে এগিয়ে ছিল মুক্তিই (১১৭-৮৬)। অন টার্গেটে শট নেয়ার বেলাতেও তাই (৭-৬)। শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধার ওপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে ব্রাদার্স। তাদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে আক্রমণে যাবার সুযোগই পাচ্ছিল না মুক্তিযোদ্ধা। যার ফলে ম্যাচের ২০ মিনিটে লিড নেয় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। কর্নার থেকে বক্সে বল পেয়ে হেডে মুক্তির জাল কাঁপান ফরোয়ার্ড বিশাল দাস (১-০)। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে এসে ব্রাদার্সের ওপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয় মুক্তিযোদ্ধা। ৬৫ মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ একটা সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। বক্সের লাইনের কাছে ফ্রি কিক পায় মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু সেই সুবর্ণ সুযোগটাই হাতছাড়া করেন মনির আলম। বল বারের অনেক ওপর দিয়ে মেরে দেন মুক্তিযোদ্ধার এই ডিফেন্ডার। ৬৯ মিনিটে বাঁপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ব্রাদার্সের বক্সে ঢুকে পড়েন ফরোয়ার্ড আমিরুল ইসলাম। পোস্ট ছিল প্রায় ফাঁকা। কিন্তু শট নিতে গিয়ে বক্সেই পড়ে যান আমিরুল। ৭৩ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে মুক্তির মিডফিল্ডার মতিউর রহমানের চমৎকার ক্রসে বক্সে বল পেয়ে হেড নেন আরেক মিডফিল্ডার মিঠু ভুঁইয়া । কিন্তু অল্পের জন্য বল জালে জড়ায়নি। ইনজুরি টাইমে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড (লালকার্ড) দেখে মাঠ ছাড়েন ব্রাদার্সের জয়ের নায়ক বিশাল। দুটো হলুদ কার্ডই তিনি দেখেন কালক্ষেপণের জন্য। শেষ পর্যন্ত মুক্তিকে বিদায় করে দিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেয় ব্রাদার্স। অথচ মাত্র এক পয়েন্ট পেলেই ব্রাদার্সকে বিদায় করে শেষ আটে পৌঁছে যেতে পারতো মুক্তিযোদ্ধাই। কারণ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফরাশগঞ্জের কাছে ২-১ গোলে হেরে পয়েন্টশূন্য ছিল ব্রাদার্স। অন্যদিকে ড্র করে এক পয়েন্ট আগেই পেয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা। তবে শেষ পর্যন্ত ৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে ব্রাদার্স।
×