ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফেলিসিটি জোন্স সফল ব্রিটিশ অভিনেত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭

ফেলিসিটি জোন্স সফল ব্রিটিশ অভিনেত্রী

বেশকিছু সিনেমার জন্য দর্শক অনেক আগে থেকেই অপেক্ষা করেন ইনফার্নো’ তেমন এক ছবি ‘ইনফার্নো’ ছবিটির জন্য বিশ্বব্যাপী সিনেমা দর্শকদের অধীর অপেক্ষা ছিল। কারণ টান টান উত্তেজনাপূর্ণ কাহিনীর হলিউডি এ ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় তারকা অভিনেতা টম হ্যাংকস। এখানে তার অভিনীত চরিত্রের নাম প্রফেসর ল্যাংডন। এ্যাকশন ধাঁচের এ ছবিতে প্রধান নারী চরিত্র ড. সিয়েনা ব্রুকসকে দর্শক শুরুতে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান। হার্ভার্ডের অধ্যাপক রবার্ট ল্যাংডন। তিনি একজন প্রতীক বিশারদ। বিভিন্ন জায়গায় নানা সংকেত, প্রতীক দেখে ভবিষ্যতের অনেক কিছুই ধারণা করতে পারেন। মানবজাতির জন্য আসন্ন কয়েকটি অবশ্যম্ভাবী সঙ্কট এড়ানোর জন্য অকুতোভয় একজন মানুষ হিসেবে লড়াইয়ে নামেন। অগ্নিকুন্ডের সামনেও থাকেন অবিচল। প্রফেসর রবার্ট ল্যাংডনের প্রতিপক্ষ ড. সিয়েনা ব্রুকস। কিন্তু প্রথমে তাকে চিনতে পারেন না ল্যাংডন। একসময় ড. সিয়েনার আসল রূপ সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি। ড. সিয়েনা হলেন এক ধনাঢ্য বিজ্ঞানীর সাবেক স্ত্রী। যে বিজ্ঞানী ‘মানববিধ্বসী’ ভাইরাস তৈরি করেন। তারা বাতাসবাহী রোগ ছড়িয়ে দেওয়ার উপযোগী একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রস্তুতি নিতে থাকেন। কিন্তু তা ধরা পড়ে যায় প্রফেসর ল্যাংডনের কাছে ড. সিয়েনা ব্রুকস চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী ফেলিসিটি জোন্স। তার অনবদ্য অভিনয়গুলো সিয়েনা ব্রুকস চরিত্রটি রুপালি পর্যায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে চরিত্রটিকে সবার কাছে রহস্যময় চমকপূর্ণ করে তুলতে সক্ষম হয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী ‘ইনফার্নো’ ছবির সুবাদে এখন দর্শকদের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে ফেলিসিটির নাম। শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করে আজকের পর্যায়ে পৌঁছেছেন তিনি যখন তার বয়স মাত্র ১১ তখন অভিনয় করেন। সেন্ট্রাল টেলিভিশনের একটি সিরিজে। টিভি সিরিজটি ছিল ‘দ্য ওরস্ট উইচ।’ ১৯৯৬ সালে অভিনয় করেন ‘দ্য ট্রেজার সিকারস’ ছবিতে। তার অভিনীত টিভি সিরিজগুলো একে একে জনপ্রিয়তা লাভ করায় অভিনয়ের জগতে নির্বিঘ্নে তরতর করে এগিয়ে যেতে থাকেন। ফেলিসিটি জোন্স অভিনীত উল্লেখযোগ্য, জনপ্রিয় টিভি সিরিজের মধ্যে রয়েছে,‘ ওয়াইয়ার্ড সিস্টার কলেজ, ‘সারভেন্টস’, ‘কেপওয়ার্থ’, ‘ডক্টর হু’, ‘দ্য ডায়েরি অব এ্যানা ফ্র্যাংক’, ‘গার্লস’ প্রভৃতি। ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দায়ও বিচরণ শুরু করেছিলেন তিনি খুব অল্প বয়সেই। ফলে দ্রুতই অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তিনি। ফেলিসিটি অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘নর্থএ্যাঙ্গার স্যাবি’, ‘ব্রাইডশেড রিভিজিটেড’, ‘চেন দ্য টেম্পেস্ট’, ‘সিমিটারি জংশন’, ‘সোলবয়’, ‘চালেট গার্ল লাইক ক্রেজি’, ‘আলবাট্রস’, ‘হিসিরিয়া’, ‘চিয়ারফুল ওয়েদার ফর দ্য ওয়েডিংব্রিদ ইন’, ‘দ্য ইনভিজিবল ওম্যান’, ‘দ্য আমার্জি স্পাইডার ম্যান টু, ‘দ্য থিয়োরি অব এভরিয়িং’ গত বছর তাকে দেখা গেছে ‘ট্রু স্টোরি’ ছবিতে। যেখানে তার অভিনীত চরিত্রটি দর্শক হৃদয়ে বেশ নাড়া দিয়েছে। ‘ইনফার্নে’র আগে এ বছর ফেলিসিটি জোন্স অভিনীত ‘কোল্ডি’ এবং ‘এ মনস্টার কলস’, ছবি দুটিতে দেখা গেছে। চলতি বছরেই তার অভিনীত আরও একটি সিনেমা ‘রুগ ওয়ান : এ স্টার ওয়্যারস স্টোরি’ মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। অভিনেত্রী হিসেবে ইতোমধ্যে নিজের যোগ্যতা ও সক্ষমতার উজ্জ্বল প্রমাণ দিয়েছেন এই ব্রিটিশ অভিনেত্রী। একজন নির্ভরযোগ্য সুঅভিনেত্রী হিসেবে এখন তার বেশ কদর হলিউডি নির্মাতার কাছে। এ পর্যন্ত ভাল অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে অনেকবার সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছেন। ফেলিসিটি জোন্স নিজের অভিনীত সাম্প্রতিক ছবি ‘ইনফার্নো’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, ‘আমি এ ছবিতে দর্শকদের ধাঁধার মধ্যে ফেলে দিই প্রথমে। এরপর দর্শক আমার অভিনীত চরিত্রটির আসলরূপ জানতে পারে। ব্যাপারটি আমার জন্য ভিন্ন এক নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। আমার আগের অভিনীত ছবিগুলোর তুলনায় ‘ইনফার্নো অনেকটাই আলাদা। দর্শক এ ছবিতে আমার কাছে মুগ্ধ না হয়ে পারবে না। বার্মিংহামে জন্ম। এবং বেড়ে ওঠা সেখানেই। ২০১৩ সালে দীর্ঘদিনের বয়ফ্রেন্ডের কাছ থেকে সরে এসে একাকী জীবন যাপন করছেন। ‘ইনফার্নো’ ছবিতে টম হাংকস, ইরফান খান, ওমর সাই, বেন ফস্টারদের মতো বিশ্বখ্যাত তারকাদের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়াটাকে অভিনয় জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন বলে মনে করেন তিনি। আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক
×