ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন নাগরিকদের ভ্রমণে না যাওয়ার পরামর্শ

কিউবায় রহস্যময় শব্দ হামলা, কূটনীতিক কমাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৩:২৮, ১ অক্টোবর ২০১৭

কিউবায় রহস্যময় শব্দ হামলা, কূটনীতিক কমাল যুক্তরাষ্ট্র

কিউবায় অবস্থিত মাকিন দূতাবাসে রহস্যময় শব্দ হামলার কারণে কূটনৈতিক উপস্থিতি শুক্রবার অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে এনে নাগরিকদের দ্বীপদেশটিতে ভ্রমণে না যেতে পরামর্শ দিয়ে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই রহস্যময় হামলার কারণে হাভানায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস কর্মীরা শোনার ক্ষমতা হারাচ্ছেন, মাথা ঘোরা ও অবসাদের মতো লক্ষণে ভুগছেন। খবর বিবিসি অনলাইনের। যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার কিউবার দূতাবাস থেকে অর্ধেকেরও বেশি কর্মীকে সরিয়ে নিয়েছে। তারপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণেচ্ছুু কিউবানদের ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়ে শুধু মার্কিন নাগরিকদের জন্য জরুরী কিছু সেবা অব্যাহত রেখেছে হাভানার মার্কিন দূতাবাস। নিরাপত্তা পদক্ষেপ হিসেবে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে গৃহীত সিদ্ধান্তে সমস্যাটির বিষয়ে কিউবার তৎপরতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে এবং এতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শুরু করা সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, যে পর্যন্ত কিউবা সরকার হাভানায় অবস্থানরত মার্কিন কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারবে, সে সময় পর্যন্ত ঝুঁকি এড়াতে মার্কিন দূতাবাসের কর্মী সংখ্যা জরুরী পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে। ভ্রমণ সতকর্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যেহেতু আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে আর আমরা হামলার উৎস শনাক্ত করতে পারিনি, তাই আমরা বিশ্বাস করি যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকদের জীবনও এক্ষেত্রে ঝুঁকিতে থাকতে পারে। এই কারণে তাদেরও কিউবা ভ্রমণে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। মার্কিন এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান জোসেফিনা ভিদাল বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঘোষিত যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে একে হটকারী বলে বিবেচনা করছি। এটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছি আমরা। কিউবার রাষ্ট্র পরিচালিত টেলিভিশনে দেয়া এক বিবৃতিতে ভিদাল বলেন, কী হয়েছে তা স্পষ্ট করতে কিউবা এখনও যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য উদগ্রিব হয়ে আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জোর দিয়ে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র কিউবার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, কিউবায় মার্কিন দূতাবাসের ২১ জন কর্মী রহস্যজনকভাবে আহত হয়েছেন এবং তারা কানে না শোনা, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, অবসাদ, সজ্ঞানতার সমস্যা ও ঘুমের ব্যাঘাতের মতো সমস্যার কথা জানিয়েছেন। এসব বিষয়ে কোন ভূমিকা থাকার কথা অস্বীকার করে অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কিউবা সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের এক আইন প্রয়োগকারী কর্মকতা জানিয়েছেন, এফবিআইও ঘটনাটির তদন্ত করছে কিন্তু সমস্যার কারণ এখনও বের করতে পারেনি।
×