ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাফর ওয়াজেদ

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ যৌক্তিক না অযৌক্তিক

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ৭ আগস্ট ২০১৭

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ যৌক্তিক না অযৌক্তিক

জাতীয় সংসদের সদ্যসমাপ্ত বাজেট অধিবেশনে প্রথম সারির সরকার দলীয় এমপিরাও বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে অর্থমন্ত্রীর প্রতি জোরালো বাক্যবাণ ছুড়েছেন। ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকেও মন্ত্রী রেহাই পাননি। এমন কি এমপিরা তার পদত্যাগও দাবি করে বসেছিল। এদের বক্তব্যের বিপরীতে একই দলের সদস্যরাও তাদের নিজস্ব ভাষ্য উত্থাপন করেছেন অবলীলায়। জনগণের স্বার্থ যেখানে জড়িত, সেখানে স্পীকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনেক এমপি ভ্যাট আইন বাতিলের বিষয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন। বাজেট পাসের আগে অর্থমন্ত্রীকে তা বাতিল করতে হয়েছে। এই অধিবেশন স্পষ্ট করেছিল, এমপিরা স্বাধীনভাবে তাদের বক্তব্য পেশ করতে পারেন সংসদে। নিজস্ব মতামত তুলে ধরার ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের। তবে ক্ষেত্র বিশেষে এর চিত্র অন্যরকম হতে পারে। বিশেষত কোন বিষয়ে ভোটদানের ক্ষেত্রে সংসদীয় দলের আলোচনা উঠে আসা সিদ্ধান্তকেই প্রাধান্য দিতে হয়। এক্ষেত্রে দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই সংসদীয় দলে তাদের মতামত প্রকাশ করে থাকেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে সংসদীয় দল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এমনকি বিল পাসের ক্ষেত্রেও সংশোধনী উত্থাপন করে থাকেন এমপিরা। মত প্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হওয়ার কথা নয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজ নিজ দলের সদস্যদের নিয়ে সংসদীয় দল বা গ্রুপ গঠন করে থাকেন। যেখানে সদস্যরা সংসদ অধিবেশনে তাদের ভূমিকা কি হবে, আইন পাসের ক্ষেত্রে কী ধরনের বক্তব্য প্রদান করা হবে, তাও নির্ধারণ করা হয়। কোন ইস্যুতে কোন কোন সদস্য বক্তব্য প্রদান করবেন, চীফ হুইপ তা নির্ধারণ করে স্পীকারের কাছে তালিকা পেশ করেন। সে অনুযায়ী এমপিরা তাদের বক্তব্য পেশ করে থাকেন। দলের রাজনৈতিক লক্ষ্য এবং নির্বাচনী ইশতেহারে প্রদত্ত অঙ্গীকারের আলোকেই তারা বক্তব্য রাখেন। যা রাজনৈতিকভাবেও গ্রহণযোগ্য। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের সামনে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরেন। নির্ধাচিত হলে এবং সরকার গঠন করা গেলে এই ইশতেহার বা অঙ্গীকার পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই তারা জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। ভোটাররা তো স্রেফ ব্যক্তিকে নয়। দল এবং তাদের নির্বাচনী ইশতেহার বিবেচনা করেই তবে ভোট প্রদান করেন। একটি দলের মনোনয়ন নিয়ে প্রার্থী জনগণের কাছে যখন যান ভোট চাইতে, তিনি তখন তার দলের ইশতেহারে বর্ণিত বিষয়গুলোই তুলে ধরেন। ক্ষমতায় গেলে দেশও জনগণের জন্য কি কি দায়িত্ব পালন করা হবে তার ব্যাখ্যা দেন। জনগণ যদি তাতে সন্তুষ্ট হন, তবে সেই দলের প্রার্থীকেই ভোট দেন। প্রার্থীর ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনা ও মতামতকে এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়ার সুযোগ সীমিত। এই মত প্রকাশের সুযোগ রয়েছে নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদীয় দলের বৈঠকে। সেখানে তা গৃহীত হলে, তবেই সংসদে বলার সুযোগ মেলে। কিন্তু সংসদীয় দলে মতামত তুলে না ধরে, সংসদে দলবিরোধী অবস্থান গ্রহণ তো শৃঙ্খলা পরিপন্থী হিসেবে বিবেচিত হয়। এটা তো সত্য এবং বাস্তব যে, রাজনৈতিক দল কোন ক্লাব নয়, স্বার্থ বিতরণের স্থানও নয়, আর আদর্শহীন তো নয়ই। রাজনৈতিক দলের রয়েছে নিজস্ব আদর্শ, উদ্দেশ্য। সেই আদর্শকে মেনে এবং তার বাস্তবায়নের অঙ্গীকারই একজন রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীর প্রধান ব্রত। এই আদর্শের জন্য তার লড়াই-সংগ্রাম এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ। ভোটাররাও দলগুলোর আদর্শ ও লক্ষ্য বিবেচনা করেই একটি দলকে তাদের মনঃপূত মনে করে থাকেন। অধিকাংশ ভোটার সেই পছন্দসই দলের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করে থাকেন। স্রেফ প্রার্থীকে পছন্দ করে ভোট দেন এমন ভোটারও রয়েছেন। নির্বাচিত হওয়ার পর প্রার্থীরা দলীয়ভাবে শপথও গ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু দলীয় এমপিদের শপথ বাক্য পাঠ করান। যেখানে তারা ৬ দফা তথা স্বাধিকারের পক্ষে দলীয় এমপিরা শপথ নিয়েছিলেন। যদিও সেই সংসদ আর বসেনি। স্বাধীনতার পর সত্তরের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়েছিল বাংলাদেশ গণপরিষদ। এই পরিষদই অতি অল্প সময়ের মধ্যে একটি সংবিধান প্রণয়ন করে সংসদে তা পাস করিয়েছিলেন ১৯৭২ সালের ৪ নবেম্বর। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়। এই সংবিধানেই ৭০ অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত হয়। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হয়ে কোন ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে, তিনি যদি (ক) উক্ত দল হতে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোট প্রদান করেন, তাহলে সংসদে তার আসন শূন্য হবে। এ থেকে স্পষ্ট যে, পদত্যাগ বা বিপক্ষে ভোটদান ছাড়া সংসদে নিজস্ব মতামত উপস্থাপন এই অনুচ্ছেদভুক্ত নয়। নীতি নির্ধারণী বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত সংসদীয় দলে গৃহীত হওয়ার পর সংসদে এর বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখা সঙ্গত নয়। কারণ নিজস্ব বক্তব্য রাখার ফোরাম সংসদীয় দল। সুতরাং সেখানেই তা পেশ করার বিধান। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারিতে গৃহীত সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে ৭০ অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা সংযোজন করা হয়। এতে বলা হয়, যদি কোন সংসদ সদস্য, যে দল তাকে নির্বাচনে প্রার্থীরূপে মনোনীত করেছে, সে দলের নির্দেশ অমান্য করে (ক) সংসদে উপস্থিত থেকে ভোট দানে বিরত থাকেন, অথবা (খ) সংসদের কোন বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তিনি উক্ত দলের বিপক্ষে ভোট দান করেছেন বলে গণ্য হবে। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার আমলে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী সংসদে গৃহীত হয় সর্বসম্মতিক্রমে। এ সংশোধনীতে ৭০ অনুচ্ছেদে আরও দুটি ব্যাখ্যা সংযোজন করা হয়। প্রথমতঃ কোন সময় কোন রাজনৈতিক দলের সংসদীয় দলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলে এবং স্পীকার বিভক্তি ভোটের দ্বারা উক্ত দলের নেতৃত্ব নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিলে, কোন সংসদ সদস্য ভোটদানের ব্যাপারে এ রূপে নির্ধারিত নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করলে তিনি উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেছেন বলে গণ্য হবেন এবং সংসদে তার আসন শূন্য হবে। অপরটি হচ্ছে, কোন ব্যক্তি নির্দলীয় প্রার্থীরূপে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করলে তিনি উক্ত দলের প্রার্থীরূপে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন। আওয়ামী লীগের ২০০৯-১৩ সালের মহাজোট সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দ্বাদশ সংশোধনী পর্যন্ত সংশোধিত ৭০ অনুচ্ছেদটি মূল সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। অর্থাৎ ক্ষমতাসীন সরকার এই অনুচ্ছেদে নতুন করে কোন সংযোজন করেনি। স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, একটি দলের মনোনয়ন নিয়ে সেই দলের আদর্শ ও নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদে দলবিরোধী অবস্থান গ্রহণ কতটা নীতিসঙ্গত, সে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সংসদীয় দলের বৈঠকে যেখানে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় এবং সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সদস্যরা অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন, সেখানে নিজস্ব ভিন্নমত প্রকাশ কতটা যুক্তিসঙ্গত। জনসভায় দাঁড়িয়ে একই রাজনৈতিক দলের নেতারা কোন বিষয়ে নিশ্চয় ভিন্নমত তুলে ধরেন না। দলীয় মতাদর্শকে সামনে রেখে তারা বক্তৃতা করেন। একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে নেতারা যদি ভিন্ন ভিন্ন মতামত প্রকাশ করেন, তবে দলীয় শৃঙ্খলা থাকে কোথায়। দলীয় আদর্শ, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হাসিল করা তখন কঠিন হয়ে পড়ে। শ্রোতারাও পড়ে যাবেন গোলমালে। সুতরাং রাজনৈতিক নেতারা যদি সংসদে দাঁড়িয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, তখন স্থিতিশীলতা ও শৃঙ্খলা বিনষ্ট হতে বাধ্য। যখন তখন যে কোন সদস্যের মনে হলো তিনি দলের বিপক্ষে ভোট দেবেন। আবার ইচ্ছে হলে দল ত্যাগ করে অন্য দলে যোগ দেবেনÑ তাহলে যে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হবে। ৭০ অনুচ্ছেদ থাকার কারণে দলীয় এমপি কেনাবেচা সম্ভব হয় না। পাকিস্তান যুগে দলীয় এমপি কেনাবেচার অবস্থা হয়েছিল। তখন থেকেই দল বিরোধী অবস্থান গ্রহণ বন্ধে বিধি বিধান চালু করা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে বিএনপি দলীয় প্রায় ৬০ জন এমপি দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জলিলের ৩০ এপ্রিলের ট্রাম্পকার্ড ছিল তারই নমুনা। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ হয়ে গেলে সব ভেস্তে যায়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতা রাজশাহীর ডাঃ আলাউদ্দিন দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপির টিকেট নিয়ে নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে তিনি বিএনপি ছেড়ে সরকারী দল আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হন। তার সদস্য পদ বাতিল হলে উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। প্রতিবেশী গণতান্ত্রিক দেশ ভারতেও সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে অনুরূপ বিধান রয়েছে। দল বিরোধী অবস্থান নিতে পারেন না প্রকাশ্যে। যদিও এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অনেক দলের সদস্য দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। গোপন ব্যালট বলেই তাদের চিহ্নিত করা যায়নি। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ও সিপিএমের অনেক বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আবার গুজরাটে রাজ্যসভার তিনটি পদে নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে কংগ্রেসে ভাঙ্গন ধরানো এবং বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দিন কয়েক আগে। ত্রিপুরায় কংগ্রেসের বিধায়করা প্রথমে তৃণমূল এবং পরে বিজেপিতে যোগ দেয়। এখানেও কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে। প্রলোভনের ফাঁদ ও মামলার ভয়Ñ এই দুই অস্ত্রের জোরে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দল ভাঙ্গানো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অহরহ চলছে। ৭০ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বলা হচ্ছে, এই অনুচ্ছেদ সংসদ সদস্যদের বেদনাহত এবং অসঙ্গতভাবে তাদের অধিকারকে শৃঙ্খলিত করেছে। তাই সংসদের কোন ইস্যুতেই তারা দলীয় অবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন না। এটা মুদ্রার এক পিঠ বলা যায়। কিন্তু অপরপিঠে এমপিরা যদি ফ্রিস্টাইল অবস্থান নেন, তখন দলীয় আদর্শ কিংবা নির্বাচনী ইশতেহার গুরুত্ব হারাতে বাধ্য। যে কোন সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান বিধি-বিধান ও শৃঙ্খলা অনুযায়ী চলে। সদস্য সংসদ অধিবেশন দাঁড়িয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখবেন কোন যুক্তিতে? যেখানে সংসদীয় দলের সভায় তিনি সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে পারেন, সেখানে অধিবেশনে দাঁড়িয়ে বিব্রতকর ও বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি করবেন কেন? বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়নি। দীর্ঘ পনেরো বছরের সামরিক শাসন সবকিছুকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয়েছে। কিন্তু তা পূর্ণতা পায়নি। তাই ৭০ অনুচ্ছেদ না থাকার বিপরীতে দেখা যায়, এমপিরা একদল ছেড়ে অন্যদলে যাচ্ছে। সংসদে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হচ্ছে। এমপি কেনাবেচার হিড়িক পড়ে যাচ্ছে। এমনকি এমপিদের একাংশ এক জোট হয়ে সরকারের পতন ঘটাতে পারবে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এমন অবস্থা বহুবার হয়েছে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল তখনই সম্ভব হবে যখন সংসদীয় গণতন্ত্র বিকশিত হবে, মানসিকতায় আসবে পরিবর্তন। এ নিয়ে এক বিতর্ক অবশ্য হতেই পারে। যা সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় অবশ্যই।
×