ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

টুকরো খবর

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৬ আগস্ট ২০১৭

টুকরো খবর

রফতানি বাড়ছে পাম অয়েলের আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ করা পাম অয়েলের ৯০ শতাংশই আসে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে। ইউএসডিএর জাকার্তা ব্যুরোর সম্প্রতি প্রতিবেদনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি ২০১৭-১৮ মৌসুমে ইন্দোনেশিয়া থেকে ২ কোটি ৬৫ লাখ টন পাম অয়েল রফতানি হতে পারে। পণ্যটির রফতানির পরিমাণ ইউএসডিএর আগের পূর্বাভাসের তুলনায় ১০ লাখ টন বেশি। নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম অয়েল রফতানি বাড়লে তা দুই মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ হবে। এর আগে ২০১৪-১৫ মৌসুমে দেশটি থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ ৬০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছিল। সে হিসাবে এবার দেশটি থেকে পাম অয়েল রফতানিতে নতুন রেকর্ড তৈরি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। সংস্থাটির হিসাবে ইন্দোনেশিয়া থেকে গত মাসে ২২ লাখ টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি। তবে চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় এ সময় পণ্যটির রফতানি কমেছে। ওই সময় দেশটি থেকে ২৩ লাখ ৮০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছিল। মূলত চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে সেখানকার শ্রমিকরা ঈদের ছুটিতে থাকায় পণ্যটির মাসিক উৎপাদন কম হয়। সে পরিস্থিতি কেটে গেছে। তাই চলতি মৌসুমে বাড়তি উৎপাদনের কারণে দেশটি থেকে পাম অয়েল রফতানি বাড়বে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করবে জাপান জাপান এ দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বৈঠক শেষে মাসাতো ওয়াতানাবে বলেন, বাংলাদেশ জাপানের ভাল বন্ধু। আগামীতে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। জাপানের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করবে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের এসইজেডে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি এসইজেডের একটিতে জাপানের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করবেন। ১০ বছর আগে বাংলাদেশের রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) জাপানের ৩৫টি কোম্পানির বিনিয়োগ ছিল। এখন সেখানে ৩৫০টি কোম্পানির বিনিয়োগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। জাপান বাংলাদেশকে অস্ত্র ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যতীত সব ধরনের পণ্য রফতানিতে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা দিয়েছে। গত বছর বাংলাদেশ জাপানে ১০৮ কোটি ডলার সমমূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। বিপরীতে এ সময়ে আমদানি করেছে ১২০ কোটি ডলারের পণ্য। আমাদের দেশের তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে জাপানে। শিগগিরই বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল সে দেশে সফর করবে। জাপানকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেছেন, দেশটি আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। জাইকা বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
×